ফেনীতে দুই দফায় ধর্ষণের শিকার পাহাড়ি তরুণী, দুই ধর্ষক গ্রেফতার
ফেনী ।। পরিবারের লোকজনের সাথে রাগ করে চট্টগ্রামের বাসা থেকে ফেনীতে গিয়ে দুই দফায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮ বছর বয়সী এক পাহাড়ি (চাকমা) তরুণী।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি রাঙামাটি সদর উপজেলায় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ রিকশা চালক মো. রিয়াজ (২৬) ও সেলুন দোকানের কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীল (২২) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা যায়, রবিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাগ করে চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে বের হয়ে ফেনীতে তার বান্ধবীর উদ্দেশ্যে চলে যায় ওই তরুণী। সেদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে সে ফেনীতে পৌঁছে। তার এক বান্ধবী ফেনী চাড়িপুরে বিসিক এলাকায় আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কাজ করে বলে সে জানালেও পুলিশ বলছে ওই ফ্যাক্টরিতে চাকরি করা তার কোন বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ফেনীতে পৌঁছার পর ওই তরুণী বিসিক এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় যাবার জন্য মহিপাল থেকে রিকশাচালক রিয়াজের রিকশায় ওঠে। রিয়াজ তাকে বিসিক যাবার কথা বলে ফেনী পৌর এলাকার ১২ নং ওয়ার্ডের মোক্তার বাড়ি এলাকায় নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে ধর্ষণ করে। পরে গভীর রাতে রিয়াজ তাকে নিয়ে আবার বের হয়ে বিসিকের দিকে রওনা দেয়। ফেনী সদরের আমতলী রাস্তার মাথার কাছে গেলে রিকশা থেকে নামিয়ে সেলুন কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীল আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে বলে ওই তরুণী পুলিশকে জানায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম তরুণী ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সোমবার রাত ৮টার দিকে মোক্তার বাড়ির কাছে দেয়ানগঞ্জের একটি মেস থেকে রিয়াজকে ও পরে আমতলী এলাকার একটি কলোনী থেকে ছোটনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত রিকশাচালক রিয়াজের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে এবং সেলুন কর্মচারী ছোটন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ধর্মপুর গ্রামের সমীর চন্দ্র শীলের ছেলে।
ফেনী মডেল থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষকদের পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।