বগাছড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের ত্রাণ বিতরণ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Bogachari tran bitoronরাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার বগাছড়িতে গতবছর ১৬ ডিসেম্বর সেটলার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন।

শুক্রবার (৬ মার্চ) পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি ও বিশিষ্ট মুরুব্বী কিরণ মারমার নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি দল বগাছড়িতে গিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা চার লক্ষ ছয় হাজার বিরাশি টাকা, নতুন ও পুরাতন কাপড়-চোপড়, চাউল ও রান্নার সরঞ্জাম বিতরণ করেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের ভালো-মন্দ খোঁজ খবর নেন। ক্ষতিগ্রস্তরাও তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

এখনো খোলা আকাশের নীচে ক্ষতিগ্রস্তরা
এখনো খোলা আকাশের নীচে ক্ষতিগ্রস্তরা

ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে আরো ছিলেন- খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান রণিক ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পৌর কাউন্সিলর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক মিলন দেওয়ান মনাঙ, সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য ও সমাজ সেবক ধীমান খীসা, খাগড়াছড়ি পৌর সমাজ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপায়ন চাকমা, হেডম্যান এসোসিয়েশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, ভাইবোন ছড়া ইউপি চেয়ারম্যান কান্তি লাল দেওয়ান, পানছড়ির লতিবান ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমা, চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা, লোগাং  ইউপি চেয়ারম্যান সমর বিকাশ চাকমা, বিশিষ্ট মুরুব্বী  রবি শংকর তালুকদার, সমাজকর্মী মঞ্জুলাল চাকমা, নিপুল কান্তি চাকমা প্রমুখ।

এদিকে, সকালে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বগাছড়ি যাওয়ার সময় কেঙেলছড়িতে সেনা সদস্যরা ত্রাণের গাড়ি আটকিয়ে হয়রানি করেছে বলে নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন। ফেরার পথেও তাদেরকে আটকিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৬ ডিসেম্বর নান্যাচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের সুরিদাস পাড়া, বগাছড়ি ও নবীন তালুকদার পাড়ায় সেটলার বাঙালিরা হামলা চালিয়ে পাহাড়িদের ৫০টি বসতবাড়ি, ৭টি দোকান ও ১টি ক্লাবঘর পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া করুণা বন বিহার নামে একটি বৌদ্ধ বিহার ভাঙচুর ও বুদ্ধমূর্তি লুট করা হয়। এ হামলার দুই মাসের অধিক অতিক্রান্ত হলেও ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো খোলা আকাশের নীচে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
——————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More