বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাচ্ছুরি বা বাঁশের কোড় নিধন বন্ধ করার আহ্বান ইউপিডিএফের
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঁশ উৎপাদন বাড়াতে বাচ্ছুরি বা বাঁশের কোড় নিধন বন্ধ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিট থেকে একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।
প্রচারপত্রে বলা হয়, বাঁশ অতীব প্রয়োজনীয় ও বিভিন্ন কাজে লাগে। কিন্তু প্রতি বছর অবাধে বাচ্ছুরি বা বাঁশের কোড় নষ্ট করা করার ফলে দিন দিন বাঁশ সম্পদ (বাঁশ ঝাড়/বাঁশ বাগান) উজার হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। এক সময় প্রায় এলাকায় নানা ধরনের বাঁশের বন থাকলেও এখন নেই বললেই চলে।
এতে আরো বলা হয়, এক সময় এই পার্বত্য চট্টগ্রাম গাছ-বাঁশে ভরপুর ছিল। তখন ঝড়-বৃষ্টি ঠিকমতো হতো, কৃষক-জুমিয়ারা ভালো ফসল ফলাতে পারতো। মানুষের জীবন ধারনের জন্য আগে প্রকৃতি যথেষ্ট সহায়ক ছিল। কিন্তু বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো বনজঙ্গল শূণ্য ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত গাছ-বাঁশ ধ্বংস করা হলেও সেই পরিমাণে কোন গাছ রোপন বা বাগান সৃজন করা হচ্ছে না। যার ফলে দেখা দিচ্ছে পরিবেশ বিপর্যয়। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, উষ্ণ তাপমাত্রা, খড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জীব-জন্তু ও প্রাণীকুল বিপন্ন এবং অনেক জীবজন্তু বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরো অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
প্রচারপত্রে বলা হয়, এক শ্রেণীর অসাধু বাচ্ছুরি সংগ্রহকারী প্রতিবছর হাজার হাজার বাচ্ছুরি সংগ্রহ করে সেগুলো হয় নিজেরা খাচ্ছেন অথবা বাজারে বিক্রি করছেন। এভাবে সংগ্রাহক, ব্যবসায়ী, বিক্রেতা-ক্রেতা সবাই মিলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বাঁশ সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। বাচ্ছুরি সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণ হলে কোটি কোটি টাকার বাঁশ সম্পদ রক্ষা করা যাবে। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া যাবে। এই অর্থনৈতিক গুরুত্ব উপলব্ধি করেই বাচ্ছুরি নিধন বন্ধ করে বাঁশ সম্পদকে রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
প্রচারপত্রে বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাচ্ছুরি সংগ্রহ, খাওয়া, ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকার হেডম্যান, কার্বারী, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় গুরু, শিক্ষক সহ ক্লাব-সমিতি, সমাজসেবক এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।