বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সংগঠক সুগত চাকমাকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ, নিঃশর্ত মুক্তির দাবি
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমা আজ ৪ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে গতকাল সোমবার দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার উগলছড়ির নিজ বাড়ি থেকে ইউপিডিএফ-এর বাঘাইছড়ি এলাকার সংগঠক সুগত চাকমাকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি এ আটকের ঘটনাকে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে চলমান রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অংশ উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার থাকার কারণে ইউপিডিএফের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা দৃঢ়তার সাথে বলেন, শত দমন-পীড়ন চালিয়েও ইউপিডিএফের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে কিছুতেই স্তব্ধ করা যাবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিকামী জনগণকে সাথে নিয়ে ইউপিডিএফ তার লক্ষ্য অর্জনে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি অবিলম্বে ইউপিডিএফ সংগঠক সুগত চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তি, অন্যায় ধরপাকড় ও নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১ নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানান।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ইউনিটের সংগঠক অনি চাকমা বলেছেন, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ৭ মাইল নামক স্থানে প্রাণ-আরএফএল’র গাড়ি বহরে ব্রাশ ফায়ারের ঘটনায় ইউপিডিএফকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উক্ত ঘটনার সাথে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই আসে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউপিডিএফকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি বিশেষ মহল উক্ত ঘটনার সাথে ইউপিডিএফ-কে জড়িত করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। তিনি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে করেঙাতলী আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ফাইম এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য নিজ বাড়ি থেকে সুগত চাকমাকে আটক করে নিয়ে যায়। এখনো তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানা গেছে।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।