বাঘাইছড়িতে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত, এলাকায় নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার দাবি

0

সিএইচটিনিউজ.কম
updateবাঘাইছড়ি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের তদেকমারা কিজিং (দুই টিলা) অজলচুগ বনবিহারে বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ ও স্থাপন কাজে বাধাদানের ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বীদের সাথে সেনা কর্মকর্তাদের এক আলোচনার পর আগামী সোমবার (৫ মে) বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈঠক অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ কাজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আলোচনায় পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে দুইটিলা এলাকায় নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আলোচনার সময় সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে বাঘাইহাট জোন কমান্ডার রশিদ ও দীঘিনালা জোন কমান্ডার লোকমান এবং পাহাড়িদের মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলার মুরুব্বী বিশ্বজিত চাকমা, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারুসি চাকমা, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার অমর বিকাশ চাকমা সহ স্থানীয় মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। উভয়ের সম্মতিতে সোমবার দুইটিলা অজলচুগ বনবিহার মাঠে (যেখানে বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ কাজ চলছে) এ বৈঠক অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুইটিলার অজলচুগ বনবিহারে ১০ ফুট উচ্চতার বুদ্ধমুর্তি নির্মাণ ও স্থাপনে বাধা দেয়ার লক্ষ্যে দুইটিলা এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক সেনা সদস্যকে মোতায়েন করা হয়। গতকাল বুধবার প্রশাসন উক্ত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।  কিন্তু স্থানীয় পাহাড়িরা অযৌক্তিক ও অন্যায় ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়। এ নিয়ে বাঘাইহাট জোন কমান্ডার রশিদ ও দীঘিনালা জোন কমান্ডার লোকমানের নেতৃত্বে ব্যাপক সংখ্যক সেনা সদস্য উক্ত স্থানে এসে বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ কাজে নিয়োজিত লোকজনকে ভয়-ভীতি ও হুমকিমুলক আচরণ করলে এলাকার জনগণের মধ্যে এক আতঙ্ক ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
———————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More