বাঘাইছড়িতে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে ৯ ব্যক্তিকে শারীরিক নির্যাতন করেছে সেনাবাহিনী
সিএইচটি নিউজ ডটকম
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে ৯ ব্যক্তিকে শারীরিক নির্যাতন করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় করেঙাতলী আর্মি ক্যাম্পে এ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- মারিশ্যা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের করেঙাতলী মুখ গ্রামের চিত্তিয়া চাকমা (২৫), পিতা: তিবুজ্যা চাকমা, ভূইয়ো ছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি মেম্বার উত্তম বিকাশ চাকমা (৪২), পিতা- হরিলাল চাকমা; খেদারাছড়া গ্রামের জুনুমনি চাকমা (২৬), পিতা মৃত. পুর্ণিময় চাকমা; তপন চাকমা (১৮), পিতা দীপঙ্কর চাকমা; রিপেল চাকমা (২৬), পিতা সঞ্চয় চাকমা; সনাক্কে চাকমা (২৬), পিতা- তুকুরুক চান চাকমা; মরত্তো চাকমা (২৮), পিতা পূর্ণ কুমার চাকমা; ননাছ’ চাকমা (৩২), পিতা মঙ্গল কুমার চাকমা ও কালায়ে চাকমা (৩২) পিতা- শান্তি চাকমা। এর মধ্যে রিপেল চাকমার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঘাইছড়ি মুসলিম ব্লকের মো: নুরু হোসেন নামে এক গরু ব্যবসায়ী ননাছ’ চাকমার মাধ্যমে গরু কিনতে শনিবার সকালে করেঙাতলী মুখ গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে ননাছ’ চাকমার সাথে নুরু হোসেনের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর নুরু হোসেন করেঙাতলী ক্যাম্পে গিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ দেয়। তার অভিযোগ শোনার পরপরই ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সেলিমের নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী করেঙাতলী মুখে গিয়ে ঘটনার কোন যাচাই ছাড়াই দোকানে থাকা ননাছ’ চাকমাসহ উক্ত ৯ ব্যক্তিকে ধরে মারতে মারতে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পরও তাদের উপর সাংঘাতিকভাবে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বীরা ক্যাম্পে গেলে তাদের জিম্মায় বিকাল আড়াইটার দিকে ৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও নির্যাতনের ফলে গুরুতর আহত রিপেল চাকমাকে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে ক্যাম্পে রাখা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় তাকে ছেড়ে দেয়। তবে তাকে বাড়িতে চিকিৎসাা ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে না বলে সেনারা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিতেও ভয় পাচ্ছে।
এদিকে, যাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে আগামীকাল রবিবার আবারো ক্যাম্পে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবরটির ইংরেজী [English] ভার্সন পড়ুন এখানে
———————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।া