বাঘাইছড়িতে সেটলার কর্তৃক এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রী ধর্ষিত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে সেটলার কর্তৃক এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। সে বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যার তুলাবান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাড়ি লংগদু উপজেলার ভাইবোন ছড়া গ্রামে। সে রূপকারী ইউনিয়নের ভক্ত পাড়ায় মনোরঞ্জন চাকমা নামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করছে।
জানা যায়, গতকাল ২৭ জুলাই বুধবার সকাল ১১টার সময় পুরান মারিশ্যা এলাকার মৃত আবু হোসেন গাজীর ছেলে মো: আবদুল মজিদ(২৮) মনোরঞ্জনের বাসায় গিয়ে হাজির হয়। এ সময় মেয়েটি পরীক্ষা দিতে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সবাই বাজারে যাওয়ায় এ সময় বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। আবদুল মজিদ মেয়েটিকে একা পেয়ে প্রথমে ৫০ টাকা গছিয়ে দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে মেয়েটি রাজী না হলে আবদুল মজিদ তাকে ঝাপটিয়ে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ঘটনার একদিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ধর্ষক আবদুল মজিদকে গ্রেফতার করেছে। তাকে বর্তমানে বাঘাইছড়ি থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা উপজলো সদরে মানবন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। এতে বক্তব্য রাখেন তুলাবান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জ্ঞান রঞ্জন চাকমা, বাঘাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ লাল চাকমা, কাচালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন, কাচালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভদ্রসেন চাকমা ও উগলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্তময় চাকমা। তারা ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
অন্যদিকে ধর্ষক আবদুল মজিদের মুক্তির দাবিতে বাঙালি ছাত্র পরিষদের উস্কানিতে কয়েকশ‘ সেটলার আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। এ ঘটনার জের ধরে সেটলাররা যে কোন সময় সাম্প্রদায়িক ঘটনা সংঘটিত করতে পারে বলে পাহাড়িরা আশঙ্কা করছেন।