বান্দরবানে অবৈধ ইটভাটায় বেআইনীভাবে পুড়ছে কাঠ

0

বান্দরবান প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম

বান্দরবান সদরের কাছেই এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমানায় ছাইংগ্যা এলাকায় বিবিসি এবং এবিএম সহ  তিনটি অবৈধ ইটভাটায় বেআইনিভাবে পুড়ছেই জ্বালানী কাঠ। শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে  এই তিনটি ইটভাটায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে আবদুল আজিজ এর মালিকানায় এবিএম এবং উজ্জ্বল কান্তি দাসের মালিকানায় বিবিসি নামে সহ দু’শত গজের মধ্যে গড়ে ওঠা  তিনটি অবৈধ ইটভাটায় বেআইনি ভাবে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান কাঠ পোড়ানোর দৃশ্য দেখা গেছে। এই তিনটি ইটভাটার  মালিকানা আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা হবার কারনে প্রশাসন রয়েছেন নির্বিকার এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এলাকার অধিবাসী মোঃ ইকবাল হোসেন ও মংসাচিং মারমা অভিযোগ করে জানান, প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা হবার কারনে এবং বনবিভাগকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার আশে-পাশে ফসলি জমি থাকায় আমণ ধানও  ভাল হচ্ছেনা এই মৌসুমে।

পরিবেশ কর্মী দেনদোহা জলাই বলেন, প্রভাবশালীরাই পাহাড়ে প্রতিবছরে পরিবেশ ক্ষতিকারক অবৈধ এসব কাজ করে যাচ্ছেন। ইটভাটায় কাঠ পুড়ে সবুজ পাহাড় ন্যাড়া করবার প্রতিযোগিতা চলছে। এর জন্য এইসব অবৈধ ই্টভাটার মালিকরাই দায়ি। তিনি অবৈধ ভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান।

এবিএম ইটভাটার মালিক আবদুল আজিজ তার ইটভাটায় অবৈধ কাঠ পোড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে জেলা ইটভাটার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক,আ.লীগের নেতা ও বিবিসির ইটভাটার স্বত্তাধিকারী উজ্জ্বল কান্তি দাসের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান।

ইটভাটার মালিক সমিতির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ জানান, ইটভাটায় অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানো হয়। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় নিউজ করার প্রয়োজন নেই।ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কান্তি দাসের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান তিনি।

বনবিভাগের তারাছা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের জানান, তৎক্ষণিক ভাবে ভাটায় বনকর্মী পাঠিয়ে জ্বালানী কাঠ জব্দ করে আইনি ব্যবস্থা নেবার কথা জানালেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তিনি।

জেলা প্রশাসক কে.এম.তারিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ কাঠ পোড়ানো বন্ধের জন্য তৎক্ষনিক আমি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More