বান্দরবানে ইউপিডিএফ কার্যালয়ে জেএসএস সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্োভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
গত ২৩ আগস্ট‘১২ সন্ধ্যায় বান্দরবানের বালাঘাটা বাজারে ইউপিডিএফ কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ ২৪ আগস্ট শুক্রবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিলউইমেন্স ফেডারেশন ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
আজ বেলা ৩টায় খাগড়াছড়ি সদরে মাহাজনপাড়া সূর্য্যশিখা কাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার ও উপজেলা ঘুরে স্বণির্ভর বাজারে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা। অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থুইক্যচিং মারমা। সভা পরিচালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি আপ্রুসি মারমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সময় জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা আন্দোলনের কথা বলে থাকলেও সরকারের বিরুদ্ধে এযাৎ কোন কর্মসূচী দেয়নি। অতীতে যতবার তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর কর্মসূচীর কথা বলেছেন ততবার ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতকে বাড়িয়ে তুলেছেন। সর্বশেষ গত ২৮জুন ঢাকায় চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকের পর সরকারের প্রতি হুশিয়ারী দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন চুক্তি বাস্তবায়িত না হলে পাহাড়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। এই হুশিয়ারী দেয়ার পর তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কোন কর্মসূচী না দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গণমানুষের সংগঠন ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-আক্রমন জোরদার করেছে। সর্বশেষ ২৩ আগস্ট বান্দরবানের বালাঘাটা বাজারে সন্তু লারমার নির্দেশে তার সন্ত্রাসী ক্যাডাররা ইউপিডিএফ-এর কার্যালয়ে হামলা ও সংগঠনের নেতা কর্মীদের উপর আক্রমন চালায়।
বক্তারা আরো বলেন, ২৩ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮.৩০টার সময় সেনাবাহিনী ও বান্দরবান থালা পুলিশ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের সাথে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম বান্দরবান জেলার আহ্বায়ক বিক্রম তংচঙ্গ্যাসহ তিন নেতা কর্মীকে বিনা কারণে আটক করে। সমাবেশ থেকে বক্তারা বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্তু লারমার নির্দেশে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ, খুনি ও দুর্নীতিবাজ সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়াম্যানের পদ থেকে অপসারণ এবং গ্রেফতার, অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যুব ফোরামের তিন নেতা কর্মীকে বিনাশর্তে মুক্তি দেয়ার দাবী জানান।
এছাড়া দিঘীনালা, পানছড়ি ও মহালছড়িতেও ঘটনার প্রতিবাদে তিন গণতান্ত্রিক সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।