বান্দরবানে পর্যটনের নামে ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ডিওয়াইএফ’র বিক্ষোভ

0

খাগড়াছড়ি ।। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের নামে ম্রো জাতিসত্তার জমি জবরদখল ও উচ্ছেদের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

আজ সোমবার (১২ অক্টোবর ২০২০) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও পরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সমর চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সদস্য জুনেট চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সিকদার গ্রুপ কর্তৃক ম্রো জাতিসত্তাদের ৮টি গ্রাম উচ্ছেদ করে  ৮০০ একর ভূমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে পাঁচতারকা হোটেলসহ পর্যটন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার একটি রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র। শাসকগোষ্ঠী দশকের পর দশক ধরে পর্যটন, পার্ক, সেনাক্যাম্প স্থাপনসহ কথিত উন্নয়নের সাইনবোর্ড বসিয়ে পাহাড়িদের হাজার হাজার ভূমি কেড়ে নিচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিসত্তাসমুহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হাতিয়ার হিসেবে ভূমি বেদখল, অন্যায় দমন-পীড়ন ও তার সাথে পাহাড়ি নারী ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

বক্তারা আরো বলেন, গত ৭ অক্টোবর চিম্বুক পাহাড় এলাকায় যুগ যুগ ধরে বসবাসরত ম্রো জাতিসত্তার জনগণ বান্দরবান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচতারকা হোটেলসহ বিলাসবহুল পর্যটন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে জমি বেদখল ও উচ্ছেদ রোধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এতে তারা অভিযোগ করেছেন, ‘সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সদস্যরা জরিপ করে বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড ও খুটি বসিয়ে দেয়, এতে করে পাড়াবাসীর শত শত বছরের সংরক্ষিত পাড়া বন, শশ্মানভূমি, জুম চাষের জমি, ফলজ-বনজ বাগানের সবকিছু দখলে চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় কাপ্রু পাড়া, দোলাপাড়া ও এরাপাড়া উচ্ছেদ হবে। একইভাবে মার্কিনপাড়া, লংবাইতং পাড়া, মেনসিং পাড়া, রিয়ামানাইপাড়া ও মেনরিং পাড়া উচ্ছেদের মুখে পড়েছে। স্থানীয় সেনাক্যাম্প থেকে পাড়ার কার্বারী ও পাড়াবাসীদের ডেকে দখলকৃত জায়গা জমি নিয়ে কোনো কথা না বলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে’।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচতারকা হোটেলসহ সকল পর্যটন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে ম্রোদের জমি ফিরিয়ে দেয়া, বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল ও পাহাড়ি উচ্ছেদ বন্ধ করা এবং পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি আইনের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More