বান্দরবান জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ৩০ হাজার পরিবার

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Bandarbanlandslideবান্দরবান প্রতিনিধি : ছয় দিনের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বান্দরবানে এই ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। গত দুই দিনে বান্দরবানে ৩০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বান্দরবানে প্রতিবছরই বর্ষার সময় পাহাড় ধসে জীবন হারান অসংখ্য মানুষ।

ইতিমধ্যেই  জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো পাদদেশ থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।

জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্নি এনজিওর জরিপে দেখা গেছে, বান্দরবানের সাত উপজেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালুতে (পাদদেশে) বসবাস করছেন লক্ষাধিক পরিবার। যার মধ্যে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি পরিবার অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

লামা উপজেলার ইসলামপুর, হরিনমারা, তেলুমিয়া পাড়া, গজালিয়া, মুসলিম পাড়া, চেয়ারম্যানপাড়া, হরিণঝিড়ি, টিএ্যান্ডটি এলাকা, সরই, রুপসীপাড়া, সদর উপজেলার কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বালাঘাটা, বনরূপাপাড়া, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকা, নোয়াপাড়া, কসাইপাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তরপাড়া, বাইশফাঁড়ি, আমতলী, রেজু, তুমব্রু, হেডম্যানপাড়া, মনজয় পাড়া, দৌছড়ি, বাইশারী, রুমা উপজেলার হোস্টেলপাড়া, রনিনপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে ৫০ হাজার পরিবার। এদের বেশিরভাগই হতদরিদ্র মানুষ।হ

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম  বলেন, প্রতিবর্ষা মৌসুমে বান্দরবানে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ সরকারিভাবে এখনো নেওয়া হয়নি। বৃষ্টির সময় শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করা হয়। তাদের জন্য সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্নি এনজিওর জরিপে দেখা গেছে, বান্দরবানের সাত উপজেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালুতে (পাদদেশে) বসবাস করছেন লক্ষাধিক পরিবার। যার মধ্যে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি পরিবার অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

লামা উপজেলার ইসলামপুর, হরিনমারা, তেলুমিয়া পাড়া, গজালিয়া, মুসলিম পাড়া, চেয়ারম্যানপাড়া, হরিণঝিড়ি, টিএ্যান্ডটি এলাকা, সরই, রুপসীপাড়া, সদর উপজেলার কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বালাঘাটা, বনরূপাপাড়া, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকা, নোয়াপাড়া, কসাইপাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তরপাড়া, বাইশফাঁড়ি, আমতলী, রেজু, তুমব্রু, হেডম্যানপাড়া, মনজয় পাড়া, দৌছড়ি, বাইশারী, রুমা উপজেলার হোস্টেলপাড়া, রনিনপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে ৫০ হাজার পরিবার। এদের বেশিরভাগই হতদরিদ্র মানুষ।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাস বলেন, প্রতিবর্ষা মৌসুমে বান্দরবানে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ সরকারিভাবে এখনো নেওয়া হয়নি। বৃষ্টির সময় শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করা হয়। তাদের জন্য সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের সরিয়ে সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসন করে স্থায়ী সমাধানের পরামর্শ দেন তিনি।

লামা পৌরসভার স্থানীয় অধিবাসী মোঃ রুবেল ও আলমগীর সহ অনেকে জানান, থাকার কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালুতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। সরকারি কোথাও নিরাপদ স্থানে থাকার সুযোগ করে দিলে তারা এখান থেকে চলে যাবেন।

জেলা প্রশাসনের সূত্র মতে, পাহাড় ধসে ২০০৬ সালে জেলা সদরে মারা যান তিনজন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাঁচজন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় দু’জন, ২০১২ সালে লামা উপজেলায় ২৮ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন মারা গেছেন।
——————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More