বাবুছড়ায় বিজিবি হামলা: পুলিশ ৩ নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে

0

সিএইচটি নিউজ.কম
Khagrachariখাগড়াছড়ি: পুলিশ খাগড়াছড়ি হাসপাতালে বাবুছড়া হামলায় আহত ৩ মহিলা রোগীসহ ৫ জনকে আটক করেছে।

জানা গেছে, যত্ন মোহন কার্বারী পাড়ার প্রদীপ চন্দ্র চাকমা, ৬০, ও স্নেহ রঞ্জন চাকমা, ৫৮, আজ শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতলে তাদের আহত স্ত্রীদের দেখতে গেলে দীঘিনালা থানার এসআই ইস্রাফিল হাসপাতাল গেট থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে।

এরপর পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে এবং আদালত তাদেরকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

অন্যদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোপা চাকমা ও উক্ত গ্রেফতারকৃতদের দুই স্ত্রী মায়ারাণী চাকমা ও ফুলরাণী চাকমাকেও বন্দী করা হয়েছে। মহিলা পুলিশ তাদেরকে হাসপাতালে পাহারা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের চেইন পরানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন বাবুছড়ার যত্ন মোহন কার্বারী পাড়ায় বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বিজিবি, পুলিশ ও বাঙালি সেটলাররা যৌথভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ১৮ জন আহত হন, যাদের অধিকাংশ নারী।

এই হামলার পর বিজিবির সুবেদার গোলাম রসূল বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় সরকারী কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৫০ জন পাহাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে। এই মামলায় বাবুছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুগত প্রিয় চাকমা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান পরিতোষ চাকমা ও স্থানীয় হেডম্যান প্রান্তর চাকমাকেও আসামী করা হয়েছে^।

এই মামলার পর আজ প্রথম ৫জনকে আটক করা হলো।

দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটি, ইউপিডিএফ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উক্ত ৫জনকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে আটককৃদের মুক্তি, বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং হামলায় জড়িত বিজিবি, পুলিশ ও সেটলারদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।

এসব দাবিতে ইউপিডিএফ আগামী রবিবার খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে। সংগঠনের নেতারা এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হামলা-মামলা দিয়ে জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমানো যাবে না। হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বিজিবি অন্যায়ভাবে ও দেশের আইন লঙ্ঘন করে বাবুছড়ায় জমি বেদখল করেছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে যত্নমোহন কার্বারী পাড়া থেকে বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা।
—————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More