বাবুছড়া আওয়ামী লীগ অফিস এখন সেনাবাহিনীর আড্ডাখানা
সিএইচটিনিউজ.কম
দীঘিনালা প্রতিনিধি: দীঘিনালাবাসীর কারোর অজানা নয় যে, মোঃ মুজিব বাবুছড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বাজার কমিটির সভাপতিও। বাবুছড়া ইউনিয়নের পাশে ৫১নং দীঘিনালা মৌজায় ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়নের যত্ন কুমার ও শশী মোহন কার্বারী পাড়ায় জোর করে ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অবস্থান নেওয়ার পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্র শুরু করে সেনা-বিজিবি আর প্রশাসন। গত ১০ জুন পাহাড়িদের উপর বিজিবি-পুলিশের হামলার ঘটনার পর বিজিবি’র দায়ের করা মিথ্যা মামলার হয়রানির ভয়ে পাহাড়িরা বাবুছড়া বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দিলে তাদের ষড়যন্ত্র আরও তীব্র হয়ে উঠে।
জানা গেছে, সেনা-বিজিবি তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য মুজিব-মালেক বাহিনীকে সুক্ষ্মভাবে ব্যবহার করছে। কথিত আছে ১০ জনের ঘটনায় মুজিব-মালেক বাহিনীও সেনা-বিজিবি-পুলিশের সাথে জড়িত ছিল। তা আরও পরিষ্কার হয়েছে গত বৃহস্পতিবার এবং তার আগের বৃহস্পতিবার সেনা-বিজিবি এবং পুলিশের সামনে কিভাবে মুজিব-মালেক বাহিনী বাবুছড়া নতুন বাজারগামী ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগনকে বাজারে না যাওয়ার জন্য বাধা দেয়, কিভাবে গাড়ীর চাবি কেড়ে নেয়, কিভাবে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েছে সেই দৃশ্য দেখে। যদি সেনা-বিজিবি-পুলিশের খুঁটির জোর না থাকতো তাহলে তারা এটা করতে সাহস পেতো না। কিন্তু সেনা-বিজিবি-পুলিশ তাদের এ অপকর্ম দেখেও যেন নীরব দর্শক, তারা কিছুই দেখেও যেন দেখে না, শুনেও না, জানেও না। কাজেই তাদের এ ধরনের আচরণ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তারা মুজিব-মালেক বাহিনীকে দিয়ে একাজ করাচ্ছে।
তাছাড়া বাবুছড়া আওয়ামীলীগের অফিসে বাবুছড়া সাবজোন অধিনায়ক মোঃ মইন এর ঘন ঘন আসা-যাওয়া, গোপন বৈঠক এবং সব সময় ফুসুর-ফুসুর তা আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে। এখন বাবুছড়া আওয়ামী লীগের অফিসটা যেন মঈনের নিয়মিত আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। দলবল নিয়ে তিনি প্রায় সময়ই আওয়ামী লীগের অফিসে বসে থাকেন। কাজেই বুঝতে বাকী নেয় যে, সেনা-বিজিবি এবং প্রশাসন মুজিব-মালেক বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য।
তাদের এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হলে বাবুছড়া এলাকায় যে কোন সময় সাম্প্রদায়িক সংঘাতের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে পাহাড়িরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
———
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।