বিলাইছড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিষয়ক সেমিনারে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের বাধার অভিযোগ

0

রাঙামাটি ।। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া জুম্ম শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিষয়ক সেমিনারের ব্যানারে ‘আদিবাসী’ লেখা থাকায় সেনাবাহিনী ও প্রশাসন কর্তৃক বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর ২০২০) বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বছর বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু জুম্ম শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারের আয়োজক ছিলেন বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া জুম্ম শিক্ষার্থীরা।

এ সেমিনারের জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌখিক অনুমতি প্রদান করেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

সেমিনার আয়োজকরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সেমিনারটি ঠিকঠাক চলছিল। সকাল ঠিক ১০:৫০ টায় গোয়েন্দা সংস্থার দুইজন লোক সেমিনার কক্ষে এসে কাউকে কিছু না জানিয়ে ছবি তুলে নিয়ে যায়। এরপর ১১:৩০ টার দিকে ১০/১৫ জনের সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ে দীঘলছড়ি সেনা জোনের জোন কমান্ডার সেমিনার কক্ষে এসে উপস্থিত হয়। তার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দীঘলছড়ি জোনের জোন কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্যানারে লেখা আদিবাসী নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তারা দুইজনেই বলেন, ‘আদিবাসী শব্দটি একটা নিষিদ্ধ শব্দ। তোমরা এরকম স্বাধীনতা বিরোধী ও সংবিধান পরিপন্থী’ লেখা ব্যানারে লিখতে পার না। তারপর আরেকটি প্রশ্ন তোলা হয়, এখানে পাহাড়ি ছাত্রছাত্রী বাদে আর কাউকে রাখা হয়নি কেন?

তাদের এমন প্রশ্নের জবাবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে যথাযথ উত্তর দিয়ে বলা হয়, ‘আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েই এই সেমিনার আয়োজন করেছি। এই উপজেলা থেকে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য আমাদের এই সেমিনার’।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তোমরা যে ব্যানার ব্যবহার করবা সেটাতো আমাকে জানাওনি’।

এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাকবিতন্ডার পর দীঘলছড়ি জোনের জোন কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম সেমিনার শেষ করার জন্য নির্দেশ দেন এবং ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়ে আয়োজক কমিটিকে আরেকটি দরখাস্ত দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত/প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More