বুদ্ধ মূর্তি ও বিহার ভাংচুরের প্রতিবাদে গুইমারায় আজও বিক্ষোভ
গুইমারা : কুকিছড়ায় বুদ্ধমূর্তি ও বিহার ভাংচুরের প্রতিবাদে গুইমারায় আজও (২৪ অক্টোবর) বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। গতকাল অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে আজকের এই বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
জ্যোতিসারা ভিক্ষুর নেতৃত্বে আজ বিকাল ৩টার দিকে রামেসু বাজার এলাকায় সর্বস্তরের জনগণ বিক্ষোভের জন্য জড়ো হতে থাকে। এ সময় সেনাবাহিনী-পুলিশ জ্যোতিসারা ভিক্ষুকে গাড়িতে তুলে চাইন্দামুনি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায়। এতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী জনতার মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
বিকাল ৪টার দিকে বিক্ষোভকারী জনতা রামেসু বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি গুইমারা বাজারে পৌঁছলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে জনতার সাথে সেনা-পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এতে এক চাকমা নারী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিকাল ৪টার সময় চাইন্দামুনি বিহারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, গুইমারা ব্রিগেড কমান্ডার, ভিক্ষু সংঘসহ সামরিক বেসামরিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ভিক্ষু সংঘের মধ্য থেকে উত্তমা ভিক্ষু, জ্যোতিসারা ভিক্ষুসহ কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষু বক্তব্য রাখেন। তারা বৌদ্ধ বিহার ও বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনার জন্য সরাসরি সেনাবাহিনীকে দায়ি করেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিশ্চয়তা চান।
সভায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ভেঙে দেয়া বুদ্ধমূর্তি ও বিহারটি যথাস্থানে পুনঃনির্মাণ, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার এবং যে স্থানে বিহারটি ভেঙে দেয়া হয়েছে সে স্থানে জেতবন বৌদ্ধ বিহারের নামে ৫ একর ভূমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার দাবি জানান।
সভায় ব্রিগেড কমাণ্ডার ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বিতর্কিত বক্তব্য দিতে গেলে উপস্থিত লোকজন এর তীব্র আপত্তি করায় পরে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বক্তব্য দেন। তিনি ভিক্ষুদের দাবি যৌক্তিক মন্তব্য করে বৌদ্ধ বিহার ও বুদ্ধ মূর্তি পুনঃনির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানা গেছে।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।