বেশি সংখ্যক নেতাকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সংশোধনী আসছে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের

0

সিএইচটিনিউজ.কম ডেস্ক:
Photo0249পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে সরকারি দলের বেশি সংখ্যক নেতাকে পুনর্বাসনের লক্ষে শিগগির সংশোধন হতে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলা পরিষদ আইন।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে আইনটির ১৬ (ক)-এর ২ নম্বর উপধারাটি পাল্টে একজনকে চেয়ারম্যান করে সদস্য সংখ্যা ৪ জনের স্থলে ১০জন করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে পরিষদের বর্তমান মনোনীত বা অর্ন্তবর্তীকালীন অবস্থাটা পাল্টে নির্বাচন ছাড়াই পূর্ণাঙ্গ অবয়ব দেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

পার্বত্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, দীর্ঘদিন থেকেই সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর একটি রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত ছিল। আর তাই আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে আসার অল্পদিনের মাথায় প্রস্তাবটি পার্বত্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভায় পাঠানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্রটি দাবি করেছে, মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে বিলটি আইনে পরিণত হবে।

খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা চলমান প্রক্রিয়ার কথাটি স্বীকার করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের জনবৈচিত্র্যের বিষয়টি বিবেচনা করে যথাসম্ভব সব কমিউনিটির অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে এই সংশোধনীর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সংশোধনের চূড়ান্তরূপ অনুমোদন পেলে পাহাড়ের মানুষ পার্বত্য জেলা পরিষদ তিনটি থেকে অধিকতর সেবা ও উন্নয়ন পাবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এর আগে ১৯৯২, ১৯৯৭, ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। তবে আইনটিতে বড় আকারের মৌলিক পরিবর্তন আনা হয় ১৯৯৮ সালের সংশোধনীতে।
আড়াই দশক আগে ১৯৮৯ সালের ২৬ জুন প্রথম নির্বাচন হয়েছিল তিন পার্বত্য জেলার জন্য গঠিত তিনটি পৃথক স্থানীয় সরকার পরিষদের। একই বছরের ৬ জুন প্রণীত বিশেষ আইনের আওতায় গঠিত সেই পরিষদে একজন চেয়ারম্যান এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক নির্ধারিত সদস্য সংখ্যা ছিলো ৩০ জন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৯৮ সালের আগে করা তিনটি সংশোধনীতে মুলত পরিষদের নির্বাচনী মেয়াদকাল এবং হস্তান্তরিত বিভাগের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। আর ১৯৯৮ সালের সংশোধনীর ৬৪ নম্বর ধারায় ভূমির হস্তান্তর ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কর্তৃত্ব, ৪২ নম্বর ধারার ৪ উপধারায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ-বাস্তবায়নের কর্তৃত্ব, ৩৮ নম্বর ধারার ৩ উপধারায় বাজেট প্রণয়নে সরকারের অনুমোদন ছাড়া একতরফা স্বাধীনতা এবং ৫১ ও ৫২ নম্বর ধারায় পরিষদের বিষয়াবলির ওপর নিয়ন্ত্রণ ও তদন্ত সংক্রান্ত সরকারের কর্তৃত্বকে বিলোপ করা হয়েছিল।

সৌজন্যে: সুপ্রভাত বাংলাদেশ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More