ভূমি কমিশনের একতরফা বিচার কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে নাগরিক সমাজের সংবাদ সম্মেলন
আজ সোমবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ির চন্দনপতি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের সদস্য বোধিসত্ব দেওয়ান।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত জুম্ম জনপ্রতিনিধি সংসদের সভাপতি পানছড়িউপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থীকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা, জেলা হেডম্যানঅ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ প্রীতি চাকমা, উপজাতীয় ঠিকাদারকল্যাণ সমিতির সভাপতি রবি শংকর তালুকদার, জেলা কার্বারী অ্যাসোসিয়েশনেরসভাপতি রনিক ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাথোইপ্রু মারমা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি সুরেশ মোহন ত্রিপুরা, শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসাসহ জেলা-উপজেলার হেডম্যান, কার্বারী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৭৯ সাল হতে ১৯৮৩ সালের মধ্যে জুম্মদের হাজার হাজার একর জমি, বসত ভিটা, বাগান-বাগিচা, চাষযোগ্য জমি, জুম মহল, মৌজা রিজার্ভ, শ্মশান ভূমি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি বেহাত হয়ে যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরবর্তীতে দিঘীনালা, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, নান্যাচর ও কাউখালীসহ বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় শত শত একর জমি সেটলার কর্তৃক বেদখল করা হয়েছে এবং বর্তমান অবধি সরকারি, বেসরকারি বা কোন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ে জমি বেদখলের প্রক্রিয়া আব্যাহত রাখা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ভূমি কমিশনের বিতর্কিত চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী একগুঁয়েমী করে হঠাৎ ভূমি বিরোধের শুনানী গ্রহণ করায় জুম্মরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ভূমি কমিশনের আইন সংশোধন না হলে বর্তমান আইন দ্বারা জুম্মদের গ্রহণযোগ্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব নয়।
সংবাদসম্মেলন থেকে ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধার্যকৃত আগামী ২৩ ও ২৪ মে মামলার শুনানী ২২ মে’র মধ্যে বাতিল করা, ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিনিয়োগ, পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি বেদখলের প্রক্রিয়া দ্রুত বন্ধসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব.)খাদেমুল ইসলাম আইনের বিশেষ বিধানের মাধ্যমে আগামী ২৩ ও ২৪ মে ভূমি বিরোধনিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।এরপর থেকে বিভিন্ন সংগঠন তার এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদসম্মেলন থেকে এ শুনানি কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানায়।