মঙ্গলবার সারাদিন আতংক ও আশংকায় কাটিয়েছে খাগড়াছড়িবাসী
খাগড়াছড়ি : গুইমারা উপজেলার তৈকর্মা পাড়া এলাকার পাশে এক বাঙালি মটর সাইকেল ড্রাইভারের লাশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িবাসী গতকাল মঙ্গলবার(১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭) সারাদিন আতংক ও আশংকায় কাটিয়েছে।
জানা গেছে মটর সাইকেল ড্রাইভার উক্ত ব্যক্তির লাশ পাওয়ার পর দুপুরের দিকে জালিয়াপাড়া এলাকায় উত্তেজিত সেটলাররা সংঘবদ্ধ হয়ে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে চলাচলরত গাড়ি থেকে পাহাড়িদের নামিয়ে হামলা করে। তবে পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাতক্ষণিক হস্তক্ষেপে এই হামলা বন্ধ হয়।
হঠাৎ এই হামলার ঘটনা পাহাড়ি জনগণের মধ্যে জানাজানি হলে পাহাড়ি জনহণ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া সন্ধ্যার মধ্যেই খাগড়াছড়ি শহর এককথায় পাহাড়িশুন্য হয়ে পড়ে। পাহাড়ি জনগণের উপর হামলা করা হবে এই আশংকায় পাহাড়িরা সেটলার বাঙালি অধ্যুষিত গ্রাম ও বাজারে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। এছাড়া রাতের দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-ঢাকাগামী সকল পাহাড়ি যাত্রী তাদের যাত্রা বাতিল করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পাশের দেশ মিয়ানমার বা বার্মা থেকে হাজারে হাজারে রোহিঙ্গা জনগণ বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে একটি উগ্রবাদী মহল পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের উপর হামলার উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
জঙ্গীবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠিও পাশের দেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে পার্বত্য চট্টগ্রামেও বিস্তৃত করে তাদের জঙ্গীবাদী শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে বলে পাহাড়িদের সচেতন মহল আশংকা করছেন।
পাশের দেশের সমস্যা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে প্রশাসন ও দেশবাসীর আরো সজাগ ভুমিকা নেয়া প্রয়োজন বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা বিষয়ক অভিজ্ঞ মহল মত প্রদান করেছেন।
——————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।