মহালছড়ি ধ্বংসযজ্ঞের ১০বছর পূর্তিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

0
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিইচটিনিউজ.কম
 
মহালছড়ি :  “মহালছড়ি ধ্বংসযজ্ঞের ১০বছর পূর্তি উপলক্ষে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে আজ ২৬ আগস্ট সোমবার সকাল ১১টায় মহালছড়ি উপজেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগ মাঠে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি পলাশ চাকমা সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সর্বানন্দ চাকমা, মহালছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার যবনিকা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মহালছড়ি থানা শাখার সভাপতি রতন স্মৃতি চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মহালছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন চাকমা।বক্তারা বলেন, ২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট মহালছড়িতে পাহাড়ি গ্রামে হামলা ছিল সেনা-সেটলারদের দীর্ঘ পরিকল্পনার ফল। এ হামলার দীর্ঘ ১০ বছর অতিক্রান্ত হলেও সরকার তথা প্রশাসন এখনো পর্যন্ত হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করেনি। এমনকি এ ঘটনা তদন্তেরও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বার বার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। সম্প্রতি মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ে পাহাড়িদের উপর সংঘটিত হামলা তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বক্তারা আরো বলেন, সেনাবাহিনী ও শাসকগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করতে চায়। যার কারণে সেটলাররা যখন পাহাড়ি গ্রামে হামলা চালায় তখন সেনাবাহিনী তাদের সহযোগিতা দিয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। এ যাবত পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণে তাই প্রমাণ করে।

বক্তারা মহালছড়িতে সংঘটিত হামলায় জড়িত সেনা-সেটলারদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচার এবং এ ধরনের হামলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট সেনা-সেটলাররা মহালছড়ি উপজেলায় ১০টি পাহাড়ি গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে পাহাড়িদের প্রায় চার শ’ ঘরবাড়ি সহ চারটি বৌদ্ধ বিহার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ হামলায় বিনোদ বিহারী খীসা নামে এক বৃদ্ধ ও ৮ মাস বয়সী এক শিশুকে হত্যা করা হয়। এছাড়া কমপক্ষে ৯ জন পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ করা হয়। 

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More