মাটিরাঙ্গায় আটক পিসিপি ও ডিওয়াইএফ নেতাদের মুক্তি দাবি ৮ সংগঠনের
নেতৃবৃন্দ সুশান্ত ও অমলের গ্রেফতারকে সম্পূর্ণ বেআইনী, অগণতান্ত্রিক এবং সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী উল্লেখ করে বলেন, “আটককৃতরা দু’জনই ছাত্র, এ বছর তারা এসএসসি পাস করেছেন। গ্রেফতারের আগে কলেজে ভর্তির জন্য তারা প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার কারণে তাদের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
বিবৃতিতে ৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিজিবির সমালোচনা আরো বলেন, “বিজিবির দায়িত্ব সীমান্ত্ম পাহারা দেয়া হলেও, তারা মাটিরাঙ্গাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ লোকজনকে প্রতিনিয়ত বেআইনীভাবে গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করছে। তারা রাতে বিরাতে লোকজনের বাড়িঘর ঘেরাও করে তলস্নাশী করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি ও আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত্ম করছে, পাহাড়ি গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে সেটলারদের উস্কানি ও সহযোগিতা দিচ্ছে এবং পাহাড়ি সংগঠনগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর হস্ত্মক্ষেপ করছে।”
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিজিবির পলাশপুর ক্যাম্পের এ ধরনের বেআইনী, অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানান। নচেৎ এলাকার ক্ষুদ্ধ নারী পুরম্নষ তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্য চিং মারমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রভা চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।
——