মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ে সেটলারদের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি, কয়েক শ’ পাহাড়ির ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহণ, ইউপিডিএফের নিন্দা
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেটলারদের মধ্যে উগ্র সাম্প্রদায়িক অংশটি অতীতের মতো সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে পাহাড়িদের জমি-জমা বেদখল করতে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে তারা গত ফেব্রুয়ারী ও জুন মাসে গোমতি-তাইন্দং এলাকায় পাহাড়িদের গ্রামে বেশ কয়েকবার হামলা চালায়। সে সময়ও পাহাড়িরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করতে বাধ্য হয়।’
ইউপিডিএফ নেতা পাহাড়িদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘সরকারী পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী কখনোই পাহাড়িদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, বরং তারাই নিরীহ পাহাড়িদের নিরাপত্তা হরণের সাথে জড়িত। এই অবস্থায় পাহাড়িদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব বাহিনী গঠনের কোন বিকল্প নেই।’
তিনি খাগড়াছড়ির সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরার নীরব ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ি তথা ত্রিপুরাদের উপর একের পর এক হামলা, নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং এর ফলে তাদের চরম দুঃখ দুর্দশার পরও তিনি সেখানে যাননি, তাদের খোঁজ খবর নেননি, তাদের পক্ষ হয়ে সংসদে বা মিডিয়ায় কথা বলা তো অনেক দূরের কথা।’ ইউপিডিএফ নেতা মাটিরাঙ্গার জনগণকে নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ ছাড়া বাঁচার কোন পথ নেই। ইউপিডিএফ যে কোন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে আপনাদের পাশে থাকবে।’
তিনি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী সেটলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, হামলার ভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়া পাহাড়িদের নিরাপত্তার গ্যারান্টিসহ নিজ গ্রামে ফিরিয়ে আনা ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পাহাড়ি পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।