মাটিরাঙ্গার তাইন্দং-এ পাহাড়িদের বাড়িঘরে সেটলারদের অগ্নসিংযোগ, শতাধিক ঘরবাড়ি ভস্মীভূত !

0
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
 
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজলোর তাইন্দংয়ে সেটলার বাঙালিরা পাহাড়িদের গ্রামে হামলা ও বাড়ঘরে অগ্নসিংযোগ করেছে বলে জানা গেছে। এতে পাহাড়িদের শতাধিক ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ ৩ আগস্ট শনিবার বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, সেটলাররা একজন বাঙালি মোটর সাইকেল চালক অপহৃত হয়েছে এই মিথ্যা অভযিোগ তুলে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায় । বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বান্দরশিং পাড়া, বগা পাড়া, মনুদাস পাড়া ও লাকু হেডম্যান পাড়ায় পাহাড়িদের শতাধকি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। এছাড়া সেটলারদের হামলায় ৪-৫ জন পাহাড়ি হতাহত হয়েছে বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে। হামলার মুখে এ সব গ্রামের কয়েক শ’ পাহাড়ি ভয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। যোগাযোগের অসুবিধার কারণে ক্ষয়-ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ জানা সম্ভব হচ্ছে হচ্ছে না।ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সেটলাররা গত বেশ কয়েকদিন ধরে মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টি করে তাইন্দং এ পাহাড়ি গ্রামে হামলার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ৩১ জুলাই বুধবার রাতে সেটলাররা ফটকাবাজি ফুটিয়ে ‘সন্ত্রাসী এসেছে সন্ত্রাসী এসেছে’ বলে মাইকে চিকার দিয়ে তাইন্দং বাজারে জড়ো হয় এবং পাহাড়ি-বিরোধী শ্লোগান দিয়ে গভীর রাতে মিছিল বের করে। এ সময় তাদের হামলার আশঙ্কায় পার্শ্ববর্তী হেডম্যান পাড়া, বগা পাড়া, পোমাং পাড়া, তানাক্কা পাড়া ও ৩নং কলিন্দ্র কার্বারী পাড়ার ২৫৭ পরিবার পাহাড়ি গ্রাম ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ইতিপূর্বেও সেটলাররা বেশ কয়েকবার পাহাড়ি গ্রামে হামলা চালায়।ইউপিডিএফ নেতা প্রশাসনের বিমাতাসূলত আচরণের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসন পাহাড়িদের উপর একের পর এক হামলা ও হামলা প্রচেষ্টা সত্বেও তাদের নিরাপত্তার জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি এবং হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও কোন ধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ কারণে সেটলাররা নিরীহ পাহাড়িদের উপর এভাবে দিনে দুপুরে বর্বরোচিত হামলা চালানোর দুঃসাহস পাচ্ছে।

তিনি অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, ভারতে পালিয়ে যাওয়া পাহাড়িদের জানমালের নিরাপত্তার গ্যারান্টিসহ ফিরিয়ে আনা এবং আত্মরক্ষার জন্য পাহাড়িদের সশস্ত্র গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের অনুমতি প্রদানের দাবি জানান।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More