মাটিরাঙ্গার তাইন্দঙে বাঙালী সেটলার কর্তৃক পাহাড়ি জনগণের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন

0
ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার তাইন্দঙে গত ৩ অগাস্ট বাঙালী সেটলার কর্তৃক পাহাড়ি জনগণের উপর  হামলা ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সামিউল আলম ও  সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, এই হামলার প্রস্তুতি অনেকদিন ধরেই চলছিল তা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। বর্ডার গার্ডকে হামলায় সহযোগিতা করতে দেখেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সহযোগিতা নিয়েই তাইন্দঙে স্থানীয় অধিবাসী পাহাড়িদের উপর বাঙ্গালী সেটলারা হামলা চালিয়েছে।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগোষ্ঠী সমূহ দমন-পীড়ন জারি রয়েছে। সেনা গ্যারিসন স্থাপন করে সামরিক শাসন জারি করে রেখেছে দেশের ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকার। লুগাং, ন্যাইন্যাচর গণহত্যার মত ঘটনার কোন বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী সমূহকে ভূমির অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। সমতল থেকে গরীব ভূমিহীন মানুষদের সরকার তাঁর লুটপাট-লুণ্ঠনের বাহিনী হিসেবে পাহাড়ে অবৈধ ভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ৩ অগাস্টের হামলা পাহাড়ে নিপীড়নের একই পদচিহ্ন অনুসরণ করে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উগ্রবাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, জাতিবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক চেতনায় পরিপুষ্ট বাংলাদেশের শাসকশ্রেণীর বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি গরীব মানুষ, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভাষাগত সংখ্যালঘু ও জাতিসমূহকে নিপীড়নে অভিন্ন আচরণ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘরে হামলা আর তাইন্দঙে পাহাড়িদের উপর হামলা শাসকশ্রেণীর লুটপাট-লুণ্ঠনের রাজনীতির সঙ্গেই অতোপ্রতভাবে সম্পর্কিত।

নেতৃবৃন্দ পাহাড় ও সমতলে শ্রমজীবী, ভাষাগত সংখ্যালঘু, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্রজাতি ও জাতিসত্ত্বা সমূহের উপর দমন-পীড়ন-নির্যাতন প্রতিরোধে শাসকশ্রেণীর উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বিপরীতে জনগণের মুক্তির পাল্টা রাজনৈতিক স্রোতধারা কে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More