মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনী কর্তৃক এক ব্যক্তিকে মারধর ও বাড়ি তল্লাশির আভিযোগ!
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১০নম্বর এলাকায় আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমানিক আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনী কর্তৃক এক ব্যক্তিকে মারধর ও বাড়িতে তল্লাশির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে শান্তি রঞ্জন ত্রিপুরা(২৭) পিতা- মৃত মন্তু ত্রিপরা নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে খেদারাছড়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের সাথে নিজে মাটিরাঙ্গা জোন থেকে একদল সেনা সদস্য তাঁর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। সেনা সদস্যরা প্রথমে তাকে ঘুম থেকে তুলে বাড়ির বাইরে বের করে সন্ত্রাসীরা কোথায় থাকে, কারা কারা সন্ত্রাসী কাজ করে… ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করে। তিনি এ বিষয়ে জানি না বলে উত্তর দিলে সেনারা তাকে মারধর করে। এরপর সেনা সদস্যরা তাঁর বাড়ির ভিতরে ঢুকে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায় এবং জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। এ সময় তাঁর ভাই পাই কুমার ত্রিপুরার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তবে পাই কুমার চাকমা বাড়িতে ছিলেন না। ব্যাপক তল্লাশির পরও অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে পরে সেনারা ক্যাম্পে ফিরে যায়। এভাবে রাতের আঁধারে সেনাদের বাড়িঘর তল্লাশি ও মারধরের ঘটনায় এলাকার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
এদিকে, একই দিন সেনারা মো: সৌরভ নামে এক বাঙালির বাড়ি তল্লাশি এবং মো: হাশেম নামে অপর এক বাঙালিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে সন্ত্রাসী ধরিয়ে দেয়ার শর্ত দিয়ে আবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, এভাবে রাতে-বিরাতে প্রায় সময়ই সেনা সদস্যরা সন্ত্রাসী খোঁজার নামে সাধারণ লোকজনকে হয়রানি করে থাকে। অনেক সময় বিনাকারণে আটক করে হাতে অস্ত্র গুজে দিয়ে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। যার কারণে তাদের প্রতিনিয়ত আশঙ্কার মধ্যেই থাকতে হয়। তাই তারা এ ধরনের হয়রানি-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।