মাটিরাঙ্গায় ৮ম শ্রেণীর এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, ২৫ হাজার টাকায় মীমাংসা !
মাটিরাঙ্গা : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে (ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের) ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে বিলম্বে পাওয়া খবরে গেছে।
গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট ২০১৭) বিকাল সাড়ে ৪ টায় মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের ইচাছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সেন্টপ্যাট্রিক আলুটিলা জুনিয়র স্কুলে ঐ ছাত্রী শুক্রবার বিকাল চার টায় স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফেরার পথে ইচাছড়া এলাকায় পৌঁছলে একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আমতলী পাড়ার মোঃ সৌরভ আলীর ছেলে মোঃ শামিম ওই ছাত্রীকে রাস্তায় আটকিয়ে টানাহেঁচড়া করে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ছাত্রীটি নিজের সম্মান বাঁচাতে ধস্তাধস্তি করে কোন মতে সেখান থেকে পলিয়ে গিয়ে এলাকার লোকজনকে ঘটনাটি জানায়।
এদিকে, এই ঘটনা বিষয়ে গত শনিবার ( ২৬ আগস্ট) ৪ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য হরি কিশোর ত্রিপুরাসহ উভয় পক্ষের (পাহাড়ি – বাঙালি) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণ চেষ্টায় দায়ে মোঃ শামিমকে শাস্তি হিসেবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও একশতবার কানে ধরে উঠাবসা করিয়ে মীমাংসা করে দেন এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানা গেছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ঐ এলাকার একজন নারী বলেন, ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা মীমাংসা !– এটা খুবই লজ্জাজনক। এটা একজন নারীর আত্মসম্মানের উপর চরম আঘাত। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেয়া এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং এর তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি আরো বলেন, ইচাছড়া এলাকায় সেটলার অতীতে অনেক পাহাড়ি ছাত্রী ও নারীকে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও ধর্ষণে পর হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন উপযুক্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ায় ও এলাকার পাহাড়ি সমাজে কিছু ব্যক্তি দালাল-প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা পালন করার ফলে এসব ঘটনা বার বার ঘটছে। তিনি ধর্ষণ চেষ্টাকারী শামিমকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
—————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।