মানিকছড়িতে আওয়ামী লীগ ও যুব লীগ নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগ ছাত্রলীগের

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
Manikchariখাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও যুবলীগ নেতা রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগ করেছে একই দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।

মানকিছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন  অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে খাস ভুমি নিরিহ মানুষের থেকে অল্প দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করে এখন সে শত শত একর ভুমির মালিক। সম্পদের মোহে এখন সে উপজেলার কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেনা।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কৃত করা হাফিজুরকে দলীয় প্রশ্রয় দিয়ে নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করাচ্ছেন আবুল কালাম। যা দলের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ দিকে উপজেলার চেঙ্গুপাড়া এলাকায় প্রায় ২৫০একর রাবার বাগান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কৌশলে আবুল কালাম নিজের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে টিআর কাবিখাও পার্বত্য জেলা পরিষদের বরাদ্ধকৃত খাদ্য শস্য যথাযথ কাজ না করে বিল তুলে আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। আবুল কালাম যার আগের বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরন খোলা উপজেলায়। তার পূর্ব নাম ছিল আব্দুল রাজ্জাক ফরায়েজি।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়। হাফিজুর আমার আত্মীয় কিন্তু তাকে আমি কখনোই প্রশ্রয় দিই নাই। বরং উল্টো তারাই হাফিজুরকে প্রশ্রয় দিয়ে আমার অনেক ক্ষতি করেছে। আর ভূমির বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো ক্রয় করা হয়েছে। কাগজ প্রত্র রয়েছে। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

কে এই কালাম চেয়ারম্যানঃ
আবুল কালাম যার আগের বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরন খোলা উপজেলার খন্তাকাটা গ্রামের জৈনক মরহুম মোজাম্মেল ফরাজির ছেলে। তার পূর্ব নাম ছিল আব্দুল রাজ্জাক ফরায়েজি । তিনি সেটেলার(পুনর্বাসিত) হিসেবে মানিকছড়িতে এসে সরকারীভাবে ৫ একর জায়গার মালিক হয়ে বসবাস করলেও বর্তমানে সে শত শত একর জমির মালিক । এত টাকার উৎস কোথায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে সরকারী দলের আনুকল্যতা গ্রহন করে গড়ে তোলেন নিজের একটি ক্যাডার বাহিনী। আর গত ২০০১ সালে তত্তাবধায়ক সরকারের সময়ে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় লক্ষীছড়ি জোনে ২টি আগ্নেয় অস্ত্র জমা দিয়ে ১৭টি মামলার এ আসামী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলেও, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুযোগে পুনরায় তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চালাচ্ছেন। তার ছেলে রফিকুল ইসলামকে দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করায় বর্তমানে রফিকুল জেলে বন্দি।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More