মানিকছড়িতে পাহাড়িদের উপর সেটলার হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
Protest rally in Dhaka, 05.09.2015ঢাকা: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার চুক্যাবিল গ্রামে পাহাড়িদের উপর সেটলার বাঙালিদের হামলা ও অব্যাহত ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত তিন সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

শনিবার (৫সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি মাইকেল চাকমার সভাপতিত্বে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা শাখার সদস্য রিয়েল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য কইংজনা মারমা।

বক্তারা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের নামে এবং সেটলার বাঙালিদের দিয়ে ভূমি বেদখলের মাধ্যমে পাহাড়িদের নিজ বাস্তুভিটা থেকে উৎখাত করার সুগভীর ষড়যন্ত্র করছে। খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেটলার বাঙালিরা প্রতিনিয়ত পাহাড়িদের জায়গা-জমি জোরপূর্বক বেদখল করছে। আর তাতে বাধা দিতে গেলেই পাহাড়িদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে।

বক্তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক গণবিরোধী ১১ দফা নির্দেশনার জারির মাধ্যমে সরকার সেনাশাসনকে বৈধতা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন-নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

বক্তারা অবিলম্বে পাহাড়িদের উপর হামলাকারী সেটলারদের গ্রেফতার ও বিচার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক ১১ নির্দেশনা বাতিল এবং মানিকছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত ভূমি বেদখল বন্ধের দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আব্দুল মতিন নামে এক বাঙালির রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সেটলারা লাপাইডং পাড়ার বাসিন্দা উষামং ও রিপ্রুচাই মারমাকে মারধর করে। পরে পুলিশ তাদের আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরদিন ৪ সেপ্টম্বর শুক্রবার বিকালে মানিকছড়ি সদর জিয়ানগর গুচ্ছগ্রাম থেকে মোহাম্মদ মোজ্জাম্মেলের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একদল সেটেলার চুক্যাবিল নামক পাহাড়ি গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা চালালে একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়।
——————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More