রাঙামাটি সদরের বালুখালি এলাকায় ১১ গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর তল্লাশি

0

রাঙামাটি ।। রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী এলাকায় দোজরী পাড়া ও কাইন্দ্যা পাড়ায় সেনাবাহিনী কর্তৃক অন্তত ১১ গ্রামবাসীর বাড়িতে তল্লাশির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ ২০২১) রাতে এ তল্লাশির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

দোজরী পাড়ায় যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় তারা হলেন- ১. সাধন চাকমা বড়চেগা (৪০), পিতা-কালাচান চাকমা; ২. কালা চান চাকমা (৭০), পিতা-মৃত বিনোদ কুমার চাকমা; ৩. লক্ষণ চন্দ্র চাকমা লগ্ন (৬৫), পীং-মৃত বিনোদ কুমার চাকমা; ৪. ফুল মোহন চাকমা (৪২), পিতা-সুবিধন চাকমা; ৫. ত্রিময় চাকমা (৩৫), পীং-মান চাকমা; ৬. সুবিধন চাকমা (৭১), পিতা-মৃত ধনঞ্জয় চাকমা; ৭. সাধন চাকমা (৩৮), পিতা-সূর্য্য ধন চাকমা; ৮. আচেন্তু চাকমা (৪৩), পিতা-ইন্দ্র মোহন চাকমা; ৯. জয়সেন চাকমা (৪১), পিতা-বক্ক্যা চাকমা।

আর কাইন্দ্যা পাড়ায় যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাানো হয় তারা হলেন- ১. শুভ লাল চাকমা (৪৮), পিতা-বিনন্দ কুমার চাকমা, গ্রাম-কাইন্দ্যা পাড়া ও ২. শান্তি রাম চাকমা ৪২), পিতা-অন্দ লাল চাকমা।

জানা যায়, গত ৮ মার্চ ২০২১ রাত আনুমানিক ১১:৩০ টার দিকে বালুখালী ইউনিয়নের মরিচ্যা বিল সেনা ক্যাম্পের ২০ জনের একটি সেনাদল পার্শ্ববর্তী কাইন্দ্যা পাড়া জুনিয়র হাই স্কুলে যায়।

পরদিন (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রাঙামাটি সদর সেনা জোন হতে ১০ জনের আরেকটি সেনাদল কাইন্দ্যা জুনিয়র হাই স্কুলে অবস্থানকারী সেনাদলটির সাথে যোগ দেয়। এরপর রাত ৭:৩০ টার দিকে সেনা সদস্যরা এলাকার হেডম্যান, কার্বারি ও কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে সেখানে ডেকে আনে। এসময় সেনা সদস্যরা হেডম্যান, কার্বারি ও গ্রামবাসীদের নিকট সন্ত্রাসীরা কোথায় থাকে, এই এলাকায় থাকে কিনা, সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয় কিনা ইত্যাদি নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে হয়রানি করে।

পরে সেনা সদস্যরা স্থানীয় ১২৫নং ফুলগাজীমা মৌজার হেডম্যান সন্তোষ চাকমা ও পূর্ণ চরণ কার্বারিকে সাথে নিয়ে দোজরীপাড়ায় যায় এবং রাত ১০ টার দিকে তাদের দুজনকে স্ব স্ব বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

এরপরই সেনা সদস্যরা দোজরীপাড়া ও পার্শ্ববর্তী কাইন্দ্যাপাড়ার উক্ত গ্রামবাসীদের বাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালায়। তবে ব্যাপক তল্লাশির পরও তাদের কারোর বাড়ি থেকে অবৈধ কোন কিছু তারা উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

 


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More