রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-জেএসএস সংঘর্ষে আহত ১০

0

সিএইচটিনিউজ.কম
SAM_2998রাঙামাটি: রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জেএসএস’র মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও বেলা ১২টার দিকে শাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্মীদের জালভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এরপর শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়, গৌধুলী আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ উচ্চ বিদ্যালয়, কাঠালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী সমর্থকরা জালভোট ও কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে।

শহরের রাঙামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২২টি এবং গৌধুলী আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ শতাধিক ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

রাঙামাটি শহরের ৭টি কেন্দ্রে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা অধিকাংশ জনসংহতি সমিতির সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থক বলে জানা গেছে।  এ সংঘর্ষের ফলে কিছুসময়ের জন্য কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সময় পারভেজ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- জনসংহতি সমিতির সদর থানার সভাপতি অরুবিন্দু চাকমা, দিলীপ চাকমা, নুরে আলম, নবায়ন চাকমা। এছাড়া ছবি তোলার সময় স্থানীয় সাংবাদিক হিমেল চাকমা ও হরি কিশোর চাকমাকে সরকার দলীয় কর্মী-সমর্থকরা মারধর করে। আহতদের রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জনসংহতি সমিতি এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের হামলায় তাদের ১১ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া সরকারী দলের এজেন্টরা আঞ্চলিক পরিষদের বিশ্রামাগারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটি শহরে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More