রামগড়ে ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি : ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা এক বিবৃতিতে আজ ২৮ জুন রবিবার সকালে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের পরশুরামঘাট এলাকার বুদ্ধধন কার্বারী পাড়ায় সেনা-সন্তু লারমা মদদপুষ্ট বোরকা পার্টির সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফ সদস্য রঞ্জন চাকমাকে(৫০) গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Bibrityবিবৃতিতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ইউপিডিএফ সদস্য রঞ্জন চাকমা সাংগঠনিক কাজে পরশুরামঘাট এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বুদ্ধধন কার্বারী পাড়ায় চারু বিকাশ চাকমার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীরা খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই রঞ্জন চাকমার মৃত্যু হয়। তাকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

নিহত রঞ্জন চাকমা লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুল্যাতলী ইউনিয়নের হাজাছড়ি গ্রামের মৃত নন্দিয়া চাকমার ছেলে।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা অভিযোগ করে বলেন, সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী অংশটি এ হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা দিয়েছে। গত কয়েকদিন আগে ১০/১২ জন বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীকে গাড়িতে করে গুইমারা ব্রিগেড ও মাটিরাঙ্গা সেনা জোনে আনা হয়েছিল। এই সন্ত্রাসীদের দিয়েই পরিকল্পিতভাবে রঞ্জন চাকমাকে হত্যা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার ও সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী অংশটি পরিকল্পিতভাবে বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, রামগড়, গুইমারা ও মাটিরাংগা এলাকায় খুন-খারাবি সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। অন্যদিকে, ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে গণতান্ত্রিক মিছিল-মিটিং ও সভা সমাবেশ করতে বাধা প্রদান ও নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে ধরপাকড়, নিপীড়ন-নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে রঞ্জন চাকমার খুনী বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সন্ত্রাসীদের সেনা মদদদান বন্ধ করা এবং ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক-শুভাকাঙ্খীদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন ও অন্যায় ধরপাকড় বন্ধ করার জোর দাবি জানান।
——————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More