রামগড়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় পাতাছড়া ইউনিয়নের বুদ্ধধন কার্বারী পাড়ায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জেএসসি পাশ ও প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সেনাবাহিনী ভণ্ডুল করে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ২৫ মার্চ ২০১১, শুক্রবার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৬টি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুইমারা ইউনিয়নের ১টি মোট ৭টি স্কুলের জেএসসি ও প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের পরশুরাম ঘাটের বুদ্ধধন কার্বারী পাড়ায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু ভোররাত আনুমানিক ৩টার দিকে মাটিরাঙ্গা জোনের অধীন ভাজ্যা পাড়া সেনা ক্যাম্প থেকে ৪০ জনের একদল সেনা অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য তৈরিকৃত প্যান্ডেল ভেঙে দেয়। এবং প্যান্ডেলের যাবতীয় জিনিষপত্র তাদের হেফাজতে নেয়।
এরপর সকাল ৭টার দিকে গুইমারা ব্রিগেড থেকে ৬ গাড়ি আর্মি গিয়ে অনুষ্ঠান স্থলের চারদিকে ঘিরে ফেলে।ফলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ভন্ডুল হয়ে যায়।
সেনাবাহিনী ছাড়াও রামগড় ও মাটিরাঙ্গা থানা থেকে পুলিশও সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়।সেনাবাহিনী ও পুলিশ অনুষ্ঠান স্থল সহ বুদ্ধধন কার্বারী পাড়া ঘিরে রাখে।কাউকে কোথাও যেতে দেয়নি। লোকজন কাজে যেতে চাইলেও সেনারা গ্রাম থেকে বের হতে দেয়নি বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আপ্রুচি মারমা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রদীপন খীসা ও আপ্রুচি মারমা সেনাবাহিনী ও পুলিশের উক্ত আচরণের কড়া সমালোচনা করে বলেন, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দিয়ে তারা সংবিধান-স্বীকৃত মৌলিক অধিকার লক্সঘন করেছে ও তাদের ফ্যাসিস্ট ও গণবিরোধী চরিত্র উন্মোচন করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সেনাবাহিনী ও পুলিশ একদিকে জুয়ারীদের মদদ দিচ্ছে ও মদ-জুয়ায় লোকজনকে উত্সাহিত করছে, অন্যদিকে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংবর্ধনা সভার মতো অতি সাধারণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বাধা দিচ্ছে।এর থেকে প্রমাণ হয় সরকার পাহাড়িদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।“
সরকার ও সেনাবাহিনীর এই ফ্যাসিস্ট ও অগণতান্ত্রিক আচরণ তাদের জন্য কখনোই মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সেনাবাহিনী ও পুলিশ একদিকে জুয়ারীদের মদদ দিচ্ছে ও মদ-জুয়ায় লোকজনকে উত্সাহিত করছে, অন্যদিকে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংবর্ধনা সভার মতো অতি সাধারণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বাধা দিচ্ছে। এর থেকে প্রমাণ হয় সরকার পাহাড়িদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।“
সরকার ও সেনাবাহিনীর এই ফ্যাসিস্ট ও অগণতান্ত্রিক আচরণ তাদের জন্য কখনোই মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।