রামগড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যেতে প্রশাসনের বাধা দেয়ার অভিযোগ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
রামগড়ে সেটলার হামলায় তিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেসরকারীভাবে কোন ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা যাবে না বলে জেলা প্রশাসক আনিসুল হক ভূইয়া জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ ২২ এপ্রিল ২০১১ সমাজ সেবক চঞ্চুমণি চাকমা ও মঞ্জুলাল দেওয়ানের নেতৃত্বে কিছু ত্রাণ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে তারা গতকাল ২১ এপ্রিল রাত ৯টার সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল চাকমার সাথে দেখা করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চান। এ সময় চেয়ারম্যান ডিসি, এসপি ও ব্রিগেডের সাথে কথা বলে নেয়া যাবে বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন৷ তার কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে চঞ্চুমণি চাকমারা সূর্যশিখা কাব থেকে আজ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে পুলিশ এসে বাধা দেয়৷ এরপর চঞ্চুমণি চাকমা মঞ্জুলাল চাকমা জেলা প্রশাসকের কাছে দেখা করতে যান৷ এ সময় জেলা প্রশাসক আনিসুল হক ভূঁইয়া এমপি এবং মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া কোন ত্রাণ সামগ্রী নেয়া যাবে না বলে জানান৷ তবে মন্ত্রীর সাথে আলাপ করে ঘন্টা দুয়েক পর জানাবেন বলে জানান৷ এরপর দুপুরের দিকেখবর নেয়া হলে আরো দু‘এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলেন। বিকাল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের সাথে আবারো যোগাযোগ করা হলে বেসরকারীভাবে কোন ত্রাণ নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন এবং উত্তোলিত ত্রাণ সামগ্রীগুলো জেলা প্রশাসনের হেফাজতে জমা দিতে বলেন।
একইভাবে খাগড়াছড়ি ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির সদস্য সচিব খাগড়াছড়ি পৌর কাউন্সিলর মিলন দেওয়ান (মনাঙ)সহ কয়েকজন দেখা করে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চাইলে তাদেরকেও জেলা প্রশাসক উপরোক্তভাবে জানিয়ে দেন। এছাড়া মারমা ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দকেও একইভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, গতকাল ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির পক্ষ থেকে সুকৃতি জীবন চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সাথে দেখা করে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চান। এ সময় মন্ত্রী ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে যাওয়া যাবে বলে আশ্বস্ত করেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার জন্য ডিসি-এসপিকে নির্দেশ দেন বলে সুকৃতি জীবন চাকমা জানান।
এরপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ নিয়ে যেতে কেন বাধা দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে এবং খাগড়াছড়ি সদর এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।