রামগড়ে তিন গ্রামবাসীকে আটকের চেষ্টা সেনাবাহিনীর, এলাকাবাসীর প্রতিরোধ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Ramgarhরামগড় প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ছোট বেলছড়ি এলাকায় ভূমি বিরোধের জের ধরে সেনা সদস্যরা তিন পাহাড়ি গ্রামবাসীকে আটকের চেষ্টা চালায়। পরে এলাকাবাসী এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ সৃষ্টি করলে তাঁরা আটক হওয়া থেকে কোন রকমে রক্ষা পান। আজ বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ছোট বেলছড়ি গ্রামের মনিন্দ্র ত্রিপুরা(৫৫), পিতা মৃত চয়ারাম ত্রিপুরার ৫ একর, নিশি কুমার ত্রিপুরা(৩৬) পিতা চরন কুমার ত্রিপুরার ২ একর ও সাধুপাড়া গ্রামের জগতচন্দ্র ত্রিপুরা(৭০), পিতা মৃত কান্ত ত্রিপুরার আড়াই একর ভোগদখলীয় ও রেকর্ডিয় জায়গা বিগত ২০১১ সালে ‘কৃষি কসমিক লিমিটেড(ঢাকা কোম্পানী)’ এর নামে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক বেদখল করা হয়। সে সময় জায়গার মালিকরা এর প্রতিবাদ করলেও কোন কাজ হয়নি। এরপর থেকে জায়গার মালিকরা বার বার নিজেদের জায়গা ফেরত দানের দাবি জানালেও তাদের কোন কথার কর্ণপাত করেনি উক্ত কোম্পানীর লোকজন।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) জায়গার মালিকরা(পাহাড়িরা) নিজেদের ভোগ-দখলীয় জায়গা হতে গাছ কাটতে গেলে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাটনাতলী ক্যাম্প থেকে একদল সেনা সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে।

এরপর সেনা সদস্যরা পাশ্ববর্তী সাধু পাড়া গ্রামে গিয়ে গ্রামটি ঘেরাও করে ওই গ্রামের বাসিন্দা অরুণ ত্রিপুরা (২২), গতিন্দ্র ত্রিপুরা (৪৫), পিতা মৃত কান্ত ত্রিপুরা ও জগতচন্দ্র ত্রিপুরা (৭০), পিতা মৃত কান্ত ত্রিপুরা এই তিনজনকে ধরে বেলছড়ি দোকান পর্যন্ত নিয়ে যায়। এখবর জানাজানি হওয়ার পর এলাকার নারী-পুরুষ সংগঠিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানায় এবং প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এসময় সেনা সদস্যদের সাথে এলাকাবাসীর ব্যাপক বাকবিতন্ডা হয়। এলাকাবাসীর ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে সেনারা উক্ত তিন গ্রামবাসীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

পরে সেনা সদস্যরা বিরোধপূর্ণ জায়গা বিষয়ে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাটা গাছগুলো কেউ নিতে পারবেনা মর্মে নির্দেশ দিয়ে ক্যাম্পে ফিরে যায়।
————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More