রামগড়ে মারমা গৃহবধুকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধনে বিজিবি-পুলিশের বাধা

0

ramgora-1রামগড় : খাগড়াছড়ি জেলা রামগড় উপজেলার সোনাইআগা গ্রামে এক মারমা গৃহবধুকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রচেষ্টাকারীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে সোনাইআগা এলাকাবাসীর উদ্যোগে কালাডেবা বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিজিবি-পুলিশ বাধা দিয়েছে  বলে খবর পাওয়া গেছে।

আজ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর ২০১৬), সকাল ১১টার দিকে এলাকাবাসী ব্যানার সহকারে রামগড় বাজার এলাকায় পৌঁছলে প্রথমে এক গাড়ি বিজিবি এসে বাধা প্রদান করে। পরে জনসাধারণ এগিয়ে গেলে রামগড় থানার এসআই মোস্তাফিজুর এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন তিনি কার অনুমতিতে মানববন্ধন করা হচ্ছে, মামলা ছাড়া তদন্ত করা যায়না বলে জনসমক্ষে প্রকাশ করেন। এছাড়া হুমকি প্রদানপূর্বক অংশগ্রহণকারীদের ফিরিয়ে দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী ভন্ডুল করে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অংশগ্রহণকারী বলেন, আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাতেই পারি, এটা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের  অধিকার। আমাদের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ ছিল। এতে কেন অনুমতির প্রয়োজন হবে? অপরাধীতো ধর্ষণের চেষ্টার সময় প্রশাসনের অনুমতি নেন নি! তারা নিরাপত্তার নাম করে পাহাড়ে ধর্ষণকারীদের রক্ষা করে চলেছে। শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বিজিবি-পুলিশের হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান পরিপন্থি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এলাকাবাসী অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, বাধা প্রদানকারী বিজিবি-পুলিশ সদস্যসহ অগণতান্ত্রিক আচরণের জন্য এস আই মোস্তাফিজুরের শাস্তিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত ধর্ষণের পর হত্যা ও ধর্ষণ প্রচেষ্টার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের শাস্তির জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে সাতটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আকষ্মিকভাবে উচাইন্দা মারমা (২৭)কে গলা চেপে ধরে দু’জন দুর্বৃত্ত। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে একজনের আঙ্গুল কামড়িয়ে ধরলে অন্যজন ধারালো দা দিয়ে হাতে কোপ বসায় এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নারীটি গুরুতর জখম হয় এবং বাম হাতের রগ কেটে যায়। তাকে রামগড় সদর হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা চট্টগ্রামে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
————–

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More