রামগড়ে সেটলার হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধা: ইউপিডিএফ-এর নিন্দা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
আজ ২০ এপ্রিল ২০১১, বুধবার, খাগড়াছড়ি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি রবিশংকর তালুকদারের নেতৃত্বে একটি টিমকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রামগড় ও মানিকছড়িতে সেটলার হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে দেয়নি।
সকাল ১০টায় ওই ত্রাণ টিমটি খাগড়াছড়ি থেকে রওনা দেয়। কিন্তু তাদেরকে প্রথমে জিরোমাইল ও আলুটিলা এবং সর্বশেষ মাটিরাঙ্গায় আটকানো হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী কখনো গাড়িতে ইউপিডিএফ-এর লোক রয়েছে, কখনো গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই ইত্যাদি নানা অজুহাত তুলে তাদেরকে তিগ্রস্ত এলাকায় যেতে বাধা দেয়।
ত্রাণ কমিটির অন্যান্য সদস্যের মধ্যে পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক সুকৃতি জীবন চাকমা, প্রাক্তন জেএসএস সদস্য ইন্দু বিকাশ চাকমা, পানছড়ি মৌজার হেডম্যান সুইহপ্রু মারমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরাপদ তালুকদার, ত্রিপুরা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুশীল ত্রিপুরা,লোগাঙ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জলত্কার চাকমা, খাগড়াছড়ি পৌর কাউন্সিল মিলন দেওয়ান মনাঙ, সাবেক খাগড়াছড়ি পৌর ভাইস চেয়ারম্যান ও পানখাইয়া পাড়ার বিশিষ্ট মুরুব্বী কিরণ মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা কার্বারী এসোসিয়েশনের সভাপতি রণিক ত্রিপুরা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক চঞ্চুমণি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ান, জেলা শাখার সহ সভাপতি চন্দনী চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আপ্রুসি মারমা সহ শতাধিক ব্যক্তি ছিলেন।
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কণিকা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংগ্য মারমা এক যুক্ত বিবৃতিতে রামগড়ে হামলায় তিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে না দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ত্রাণ বিতরণে বাধা দেয়ার ঘটনাকে চরম অমানবিক আখ্যায়িত করে বিবৃতিতে তারা বলেন, এটা পাহাড়িদের ওপর দ্বিতীয় হামলার সামিল।