রামগড়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেফতার, মুক্তি দাবি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
রামগড়: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলাধীন হাফছড়ি ইউনিয়নের ছোট কালাপানি গ্রাম থেকে সেনাবাহিনী দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন জহরলাল চাকমা ওরফে মিঠুন (৪০) পিতা বিরাজ মোহন চাকমা, গ্রাম- মুনিগ্রাম, ভাইবোন ছড়া ইউপি, খাগড়াছড়ি ও ২. খিতংছা ত্রিপুরা ওরফে মনই(২৪) পিতা মহকুমার ত্রিপুরা, গ্রাম মাচ্যাছড়া পাড়া, মাটিরাঙ্গা, খাগড়াছড়ি। গ্রেফতারের পর তাদের হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে আজ শনিবার সকালে গুইমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় গুইমারা সাবজোন কমান্ডার মেজর সাফকাতের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ছোট কালাপানি গ্রামে হানা দিয়ে নিবারণ চাকমা ওরফে বাবলুর বাড়ি ঘেরাও করে। সেখান থেকে তারা ইউপিডিএফ‘র উক্ত দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা সেখানে রাত্রি যাপন করছিলেন।
এছাড়া সেনা সদস্যরা নিবারণ চাকমার বাড়ির পাশ্ববর্তী শচীন্দ্র চাকমার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের গুইমারা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক চিত্রজ্যোতি চাকমাকে আটক করে। সাংগঠনিক কাজে তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। তবে কিছুদূর নিয়ে যাওয়ার পর তাকে রাস্তা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেনারা তাকে গ্রেফতারকৃত ইউপিডিএফ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মিছিল-মিটিঙ না করতে নির্দেশ দেয়। যদি তাদের কথা অমান্য করে মিছিল মিটিং করা হয় তাহলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকি দেয়।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রামগড় ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা আজ ৭ জুলাই শনিবার এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের ছোট কালাপানি গ্রাম থেকে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি রামগড়ের পিলাভাঙা গ্রামে ভূমি বেদখলের প্রতিবাদ করায় তাদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইউপিডিএফ নেতা বলেন, রামগড়ে ভুমি বেদখলের বিরুদ্ধে চলমান গণ আন্দোলন স্তব্ধ করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উক্ত দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা দিয়ে অতীতে যেমন আন্দোলনকে ধ্বংস করা যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।