লংগদুতে পাহাড়ি শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাকারী গ্রেফতার
রাঙামাটির লংগদুতে সুজাতা চাকমা নামে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পরহত্যার ঘটনায় ধর্ষক ইব্রাহিমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।সুজাতা চাকমা লংগদু উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নের উল্টোছড়ি সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী এবং উল্টোছড়ি গ্রামের মৃত জ্যোতিষচন্দ্র চাকমার মেয়ে।
লংগদু থানার ওসি রেজাউল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় মাইনী এলাকার গাদছড়া গ্রাম থেকে ইব্রাহিমকেগ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার বলেন্দি গ্রামে।
তিনিজানান, ইব্রাহিমের প্রকৃত নাম কাঞ্চন চন্দ্র বিশ্বাস। কয়েক বছর আগে ইসলামধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে নিজের নাম রাখেন ইব্রাহিম এলাহি। তার বর্তমান বাড়িলংগদুর ইয়ারেংছড়িতে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে গাদছড়াএলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন অপরিচিত ও উসকোখুসকো চেহারারলোক দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তার কথায় অসঙ্গতি পেলে তারা পুলিশকেখবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ইব্রাহিমকে আটক করে।
ওসি রেজাউল হক জানান, ২০১১ সালের ১৫ জুন একই এলাকায় সুজাতার মামাতো বোন বিশাখা চাকমাকে ধর্ষণেরঅভিযোগে প্রায় ৮ মাস জেলে থাকার পর সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন পানইব্রাহিম।জেল থেকে বের হয়েই তিনি আবার সুজাতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার দুপুরে শিশু সুজাতা চাকমা ৬ বছর বয়েসী এক শিশুসহ উল্টোছড়িগ্রাম থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গরু আনতে যায়। বেলা আড়াইটা থেকে ৩টারমধ্যে ইব্রাহিম সুজাতাকে জোর করে সাদাছড়া নামে একটি পাহাড়ি ছড়ার ওপরের দিকেনিয়ে যান।এসময় ওই শিশুটি দৌড়ে গ্রামে এসে লোকজনকে খবর দিলে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সুজাতার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী শিশুটির উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, একজন দাড়িওয়ালা বাঙালি সুজাতাকে জোর করে ছড়ার ওপরের দিকে নিয়ে যায়।
এঘটনায় আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঙ্গল কুমার চাকমা জানান গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ধর্ষকশিশুটিকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শিশুটির গলায় ও বাহুতে কাটা চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর নিহত সুজাতার ভাই বিকন চাকমা বুধবার রাতেই লংগদু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।