লংগদুতে সেটলার হামলার প্রতিবাদের খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ি : রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামে সেটলার হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
আজ শুক্রবার (২ জুন) বিকাল ৫.৩০টার দিকে পানখাইয়া পাড়া থেকে মিছিল শুরু হয়ে মধুপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে মধুপুর ও সাতভাইয়া পাড়া মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, পাহড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সহ-সভাপতি তপন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রেশমি মারমা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম (নয়ন)-এর লাশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলা সদরে সরকারী দল আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে আয়োজিত মিছিল ও সমাবেশ থেকেই লংগদু উপজেলা সদর ও আশেপাশের বেশ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে ৩ শত ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। বক্তারা এই হামলার ঘটনাকে বর্বরোচিত হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং সরকারের সুদূরপ্রসারী নীলনকশার অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
বক্তারা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, সমাবেশ স্থানীয় লংগদু জোন কমা-ার ও থানার ওসি বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে সেটলারদের উস্কে দিয়েছেন। ফলে এই সমাবেশ থেকে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সেটলাররাই সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় পাহাড়ি অধ্যুষিত গ্রামের বাড়িঘর, দোকানপাটে নির্বিচারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। প্রশাসন কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির পরও পাহাড়িদের কয়েকটি গ্রামে সেনা-পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় সেটলাররা হামলা চালিয়েছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা অবিলম্বে লংগদু উপজেলায় নিরীহ পাহাড়ি জনগনের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাথে জড়িত ও উস্কানীদাতা সেনা-পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি জনগণের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এছাড়া পানছড়ি, দীঘিনালা, গুইমারা উপজেলায় তিন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।