লক্ষ্মীছড়িতে ইউপিডিএফ-কে প্রতিহত করা হবে –জোন কমান্ডার সাজেদুল ইসলাম
লক্ষীছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সেনাবাহিনীর লক্ষ্মীছড়ি জোনের কমান্ডার সাজেদুল ইসলাম ইউপিডিএফকে প্রতিহত করার কথা বলেছেন। আজ ২২ নভেম্বর ২০১১ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে লক্ষ্মীছড়ি জোনে এক আইন শৃঙ্খলা মিটিঙে তিনি এ কথা বলেন। উক্ত মিটিঙে বর্মাছড়ির শুকনাছড়ি থেকে তিন গ্রামবাসীকে অপহরণকারী বোরকা সন্ত্রাসী দলের নেতা দেব রঞ্জন চাকমা ওরফে ধীমানও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মিটিঙে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সামনে জোন কমান্ডার বলেন,ইউপিডিএফ রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত রয়েছে। কাজেই ইউপিডিএফ-কে যেখানে পাওয়া যায় সেখানে প্রতিহত করা হবে। তবে বর্মাছড়ির শুকনাছড়ি থেকে অপহৃত তিন গ্রামবাসীকে উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে কোন কথা না বলে জোন কমান্ডার বিষয়টি পুরোদমে এড়িয়ে যান। ফলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মনে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, গত ১৯ নভেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে ডাকা আইন শৃঙ্খলা মিটিঙে জোন কমান্ডার সাজেদুল ইসলামবর্মাছড়ির শুকনাছড়ি থেকেসশস্ত্র বোরকা সন্ত্রাসী কর্তৃক যারা অপহৃত হয়েছেন তাদেরকে ক্রিমিনাল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, অপহৃত ব্যক্তিদের ছেলে ো ভাই ইউপিডিএফ-এর কাজ করছে। কাজেই তারাতো ক্রিমিনাল। জোন কমান্ডারের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ছেলে বা ভাই ইউপিডডিএফ-এ কাজ করছে বলে তার দায় পিতা বা ভাইয়ের উপর বর্তাতে পারে না। তারা তো কোন ইউপিডিএফ এর কাজ করছে না। এরপর সাজেদুল ইসলাম বলেন যে, মাঝে মাঝে এ ধরনের কাজ করতে হয়। জোন কমান্ডারের উক্ত বক্তব্যকে মিটিঙে উপস্থিত ব্যক্তিরা কেউই মেনে নিতে পারেনি। তারা এর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জোন কমান্ডারের উপরোক্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এটাই সুস্পষ্ট যে, অপহরণকারী বোরকা সন্ত্রাসীদের সাথে তার যোগ সাজশ রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৬ নভেম্বর মধ্য রাতে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের শুকনাছড়ি থেকে শান্ত্মি কুমার চাকমা, আনন্দ চাকমা ও সুরেশ কান্তি চাকমাকে নিজ বাড়ি থেকে সেনা-সন্তু মদদপুষ্ট বোরকা সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃতদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রশাসনও অপহৃতদের উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত গ্রহণ করেনি।