লক্ষ্মীছড়িতে বোরকা সন্ত্রাসী কর্তৃক বাজার চৌধুরী সহ ২ ব্যক্তি অপহৃত

0

লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে বাজার চৌধুরীসহ ২ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে বোরকা সন্ত্রাসীরা। অপহৃতরা হলেন লক্ষ্মীছড়ি বাজার চৌধুরীর সিক কুমার চাকমা(৪০) পিতা জামানী চাকমা, গ্রাম উপজেলা সদর ও গুল চোগাচাকমা(৩৫) পিতা মোহনচাকমা, গ্রাম বান্দরকাবা।

জানা যায়, গতকাল ৩ ০সেপ্টেম্বর রবিবার রাত আনুমানিক ১১টার সময় ১০/১৫ জনের একদল বোরকা সন্ত্রাসীতাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কি কারণে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে তা জানা যায়নি। অপহরণের পর এখনো পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এছাড়া সন্ত্রাসীরা বান্দরকাবা গ্রামের চিকন পেদা চাকমা(৩০) নামে এক ব্যক্তিকেও মারধর করেছে বলে জানা গেছে।

ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি ইউনিটের সংগঠক প্রদীপ চাকমা আজ সোমবার ১ অক্টোবর এক বিবৃতিতে উক্ত অপহরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে অপহৃতদের মুক্তি দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সন্তু লারমা একের পর এক খুন, অপহরণ ও সন্ত্রাস করে যাচ্ছে, অথচ তারপরও সরকার তাকে জামাই আদর দিয়ে আঞ্চলিক পরিষদের গদিতে বহাল তবিয়তে রেখেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের জন্য সরকার ও সেনাবাহিনী দায় এড়াতে পারে না উল্লেখ করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘সরকার অথবা সেনাবাহিনী যদি খুন-অপহরণ বন্ধ না করলে মতা থেকে অপসারণ ও দুর্নীতি তদন্ত করা হবে বলে সন্তু লারমাকে আজ শুধু ভয় দেখায়, তাহলে তিনি কালই তার সন্ত্রাসী রাজনীতি বন্ধ করতে বাধ্য হবেন এবং তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু সরকার ও সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি জিইয়ে রাখার জন্যই সন্তু লারমাকে নির্বিচারে খুন, অপহরণ করতে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে বোরকা সন্ত্রাসীরা খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। সর্বশেষ এ অপহরণের ঘটনাসহ তারা ৩০ ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে। ২০০৯ সালের মধ্য ভাগ থেকে বোরকা সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা রুইখই মারমাসহ দুই দু’জন খুন ও ৩০ ব্যক্তি অপহৃত হয়েছেন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More