লামায় ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের ৩ পাহাড়িকে জবাই করে খুন
বান্দরবান প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
বান্দরবানেরলামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নে গতকাল ৩০ জুলাই শনিবার এক পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণ ওঅপহরণের চেষ্টা করেন আবু মুসা নামের এক যুবক। এ সময় বাধা দিলে কিশোরীর মা, বৃদ্ধ দাদা ও পাঁচ বছরের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই যুবক।
এলাকাবাসীমুসাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মুসা আশির দশকে অভিবাসন করা(যারা সেটেলার হিসেবে পরিচিত) লামার রূপসী বাজার মুসলিমপাড়ারশাহজাহানের ছেলে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কিশোরীর মা হ্লামেচিং (৩৬), দাদাঅংসাউ মারমা (৭০) ও ভাই মংনুচিং মারমা (৫)।
জানা যায়, লামা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রূপসীপাড়া ইউনিয়নেরসিলেরতুয়া নাইক্ষ্যংঝিড়ি আগার নির্জন জুমঘরে থাকে ওই কিশোরীর পরিবার। গতকাল হঠাৰ স্থানীয় বখাটে সেটলার যুবক আবু মুসা সেখানে যায়। এ সময়তার বাবা জুমঘরে ছিলেন না। এই সুযোগে প্রথমে সে ঘরের ধারালো দা-গুলো খুঁজে নেয়। পরে সে ওই কিশোরীকে ধর্ষণেরচেষ্টা করে এবং টেনেহিঁচড়ে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরীর মাহ্লামেচিং ও বৃদ্ধ দাদা বাধা দিলে আবু মুসা তাঁদের দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যাকরে এবং কিশোরীর হাতে দা দিয়ে কোপ দিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে। মা ওদাদার সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় কিশোরী পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। পরে কিশোরীরপাঁচ বছরের শিশু ভাইকেও কুপিয়ে হত্যা করে মুসা। ঘটনার পর দ্রুতগতিতে পাড়াদিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহ হওয়ায় পাড়াবাসী মুসাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, জমিনিয়ে কিশোরীর নানির সঙ্গে আবু মুসার বাবা শাহজাহান ও তার চাচার বিরোধরয়েছে। এ ছাড়া সিলেরতুয়া ও নাইক্ষ্যংঝিড়িতে আশির দশকে বাইরের লোকজনেরঅভিবাসনের পর থেকে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিশেষ করে আদিবাসীদের সঙ্গে ভূমিনিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। বর্তমানে তা চরম আকার ধারণ করেছে। এই নৃশংসহত্যাকাণ্ডের পেছনে ওই ভূমি বিরোধের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন।