লামায় পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণ, আটক ১
সিএইচটি নিউজ ডটজম
লামা: বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী কর্তৃক এক পাহাড়ি কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ লামা উপজেলার শাখার সভাপতি উইলিয়াম ত্রিপুরা বাদী হয়ে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ইং এর ৯(৩) ধারায় মামলা রুজু করে। (মামলা নং-০৭, তারিখ-১৯/০৮/২০১৫ইং)।
মামলার আসামীরা হলেন- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী মো. শাহ আলম (৫০) ও নুর মোহাম্মদ (২৫) এবং স্থানীয় যুবক মো. সেলিম (২৮)। অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশ নুর মোহাম্মদ নামে একজনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী চিকিৎসার জন্য লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে ১৮ আগস্ট বেলা ১১টায় হাসপাতাল থেকে ওই কিশোরী ছাড়পত্র দেয় লামা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তরুণী তার জখমি সনদের জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে বললে হাসপাতালে স্টাফ নুর মোহাম্মদ ও শাহ আলম মেডিকেল সনদ ব্যবস্থা করে দিবে মর্মে আশ্বস্ত করে। মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষমান ওই কিশোরীকে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নানা তালবাহানা করে তাকে রেখে দেয়।
এদিকে, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল পাড়ার মিরাজ মাঝির ছেলে সেলিম (২৭) কিশোরীকে হাসপাতালের সম্মুখ থেকে জোরপূর্বক হাসপাতাল সংলগ্ন মাতামুহুরী নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ওই কিশোরী আবারো হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত নার্স তাকে আশ্রয় দেয়। অতঃপর সুযোগ পেয়ে লামা হাসপাতালের এমএলএসএস নুর মোহাম্মদ ও শাহ আলম ১৮ আগষ্ট রাত ৮টার দিকে লামা উপজেলা হাসপাতালের ডিউটিরতদের বিশ্রাম কক্ষে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামী লামা হাসপাতালের কর্মচারী নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর দু’জনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবরটির ইংরেজী [English] ভার্সন পড়ুন এখানে
——————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।