লামায় স্কুল শিক্ষিকাকে গলাকেটে হত্যা : ঘাতক স্বামী আটক

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
20151030_211520বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা পৌরসভার ‘স মিল’ পাড়ায় ছাঅংগ্য কারবারী ভাড়াটিয়া বাসায় মাক্যচিং মার্মা (২৭) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে জবাই করে হত্যা করেছে তার স্বামী থোয়াইশৈমং মার্মা (৩২)।

শুক্রবার রাত ৯টায় ‘স মিল’ পাড়ায় ভাড়া বাসায় পাসন্ড স্বামী কারিতাস সিঁড়ি প্রকল্পের মাঠকর্মী থোয়াইশৈমং মার্মা লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।

স্থানীয় জনসাধারণ ঘাটক স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশের নিকট সে নিজ হাতে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা গেছে, গত তিন মাস পূর্বে লামা পৌরসভার বড় নুনারবিল মারমা পাড়ার মৃত উক্যজাই মার্মা’র মেয়ে মাক্যচিং মার্মার সাথে বান্দরবানের তালুকদার পাড়ার বাসিন্দা ও কারিতাস সিঁড়ি প্রকল্পের মাঠকর্মী থোয়াইশৈমং মার্মা বিয়ে হয়। মাক্যচিং মার্মা রূপসী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা
হিসাবে কর্মরত আছেন। উভয়ে পৌরসভার ‘স মিল’ পাড়ায় ছাঅংগ্য কারবারী বাড়িতে তিন তলা ভবনের ১টি রুমে ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বাসার আশেপাশের লোকজন জানিয়েছেন, রাত ৭টার দিকে ওদের রুম থেকে ঝগড়ার আওয়াজ শোনা যায়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে স্কুল শিক্ষিকা মাক্যচিং মার্মার আত্মচিৎকারের আওয়াজ শোনা যায়। আশেপাশের লোকজন আওয়াজ শোনে বাসার দিকে এগিয়ে আসলে ঘাটক স্বামী থোয়াইশৈমং মার্মা রক্তমাখা দা নিয়ে লোকজনকে আক্রমনের উদ্দেশে ধাওয়া করে। স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনসাধারণের সহায়তায় ঘাটককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ রিপোর্ট লেখার সময় ঘাটক স্বামীকে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে মাক্যচিং-এর মৃত্যুর সংবাদ শুনে তার আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে ঘাতক স্বামীকে আক্রমণ করতে চাইলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে ঘাতক স্বামী থোয়াইশৈমংকে বান্দরবান সদরে পাঠিয়ে দেয়।
——————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More