লো-ভোল্টেজ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানিকছড়ির দু’সহস্রাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Manikchariমানিকছড়ি(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: মানিকছড়ি উপজেলায় লোডশেডিং এর পাশাপাশি লো-ভোল্টেজের কারণে গ্রাহকরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন না উপজেলার প্রায় দু’সহস্রাধিক গ্রাহক। আর যেটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তা লো-ভোল্টেজের কারণে ব্যবহার করা সম্বব হচেছ না। দিনে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। বিদ্যুতের এই সমস্যা সংশ্লিষ্টদের জানানোর পরও কোন সমাধান না হওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। চলতি মাসের শুরু থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। যার কারণে গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। আর মোটর পাম্প নির্ভর বাসা-বাড়িতে চলছে পানির হাহাকার। ২২০ ওয়ার্ডের স্থলে বিদ্যুৎ থাকে মাত্র ৮০-১২০ ওয়ার্ড!

উপজেলার গবামারা, গচ্ছাবিল, ময়ুখীল, আমতলা, মানিকছড়ি বাজার, টিএনটি টিলা, একসত্যাপাড়া, মুসলিমপাড়া, পান্নাবিল, মহামুনী ও তিনটহরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি দিনের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুত সরবরাহ থাকে না। দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকলেও সন্ধার পর সরবরাহের পরপরই দেখানো হয় এক ঘন্টার লোডশেডিং। এক ঘন্টার এই লোডশেডিং দু‘তিন ঘন্টায়ও শেষ হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে অফিস চলাকালীন সময়ে দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কাজে কম্পিউটার, ফোটোকপি, ফ্যান ও পানির মোটর ব্যবহার করা সম্বব হচ্ছে না। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অফিসে কাজ সারাতে আসা সাধারণ মানুষের।

পান্নাবিল বটতলের বাসিন্দা দ্বিপন কুমার কর্মকার, মহামুনির ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়াসহ অনেক গ্রাহক জানান, মাসের শুরু থেকেই বিদ্যুতের লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সারাদিনে অর্ধেকের কম সময় বিদ্যুৎ থাকলেও ভোল্টেজ কম থাকায় বাসা বাড়িতে কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, চার্জ লাইট, পানির মোটর ব্যবহার করা সম্বব হচ্ছে না। তবে বিদ্যুৎ থাক আর না থাক গ্রহকদের মধ্যে বিল প্রদানের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন পরিবর্তন নেই। নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকলে যে বিল পরিশোধ করতে হয়, না থাকলেও একই বিল পরিশোধ করতে। এ যেন মগের মুল্লকে বসবাস! অফিসে মিটার রিডার নেই, ফলে গ্রাহকদের ওপর চলছে মনগড়া বিল ছাপিয়ে দেয়ার রীতি।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন জানান, লোডশেডিং এর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ হয় হাটহাজারী সাবস্টেশন থেকে। লো-ভোল্টেজ সমস্যাটি নিরসনে মানিকছড়িতে ৩৩ কেভি’র একটি সাবস্টেশনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৬০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এ মৌসুমে লো-ভোল্টেজের সমস্যা থাকবে না। তবে সকল গ্রাহককে এ সমস্যাটি ধর্য্য সহকারে মেনে নেয়ার আহব্বান জানান তিনি।
—————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More