শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ইউপিডিএফ নেতা সুনীল বিকাশ ত্রিপুরাকে শেষ বিদায়

0

পানছড়ি : জেএসএস সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফ নেতা সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা (কাথাং)-কে শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানিয়েছে এলাকাবাসী এবং তার দল ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

# নিহত সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা(কাথাং)

গতকাল সোমবার (২৩ এপ্রিল ২০১৮) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে পোষ্ট মর্টেম শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করে পানছড়ি থানা পুলিশ। এরপর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাকে শেষ বিদায় জানান ইউপিডিএফ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

পরে বেলা ২টায় নিজ বাড়ি মরাটিলা গ্রামের শ্মশানে তার দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানে এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় শোকসন্তপ্ত মানুষের সামনে তার ছোট ভাই পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা বড় ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমার দাদা সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা দেশ জাতি ও সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সাজেক-বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা-পানছড়ি-মহলছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা দায়িত্ব পালনরত ছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি তার সাংগঠনিক এলাকায় বিভিন্ন সময়ে সামাজিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে জনগণকে আন্দোলনের সম্পর্কে উৎসাহ উদ্দীপনা যুগিয়ে গেছেন। তিনি সরকারে অন্যায় অত্যাচারে বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য এলাকার ছাত্র-যুবকদের উদ্বুব্ধ করতেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইউপিডিএফ’র একজন একনিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন’।

তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহীদ সুনীল বিকাশ ত্রিপুরার স্বপ্ন পূর্ণস্বায়ত্তশান আদায়ের আন্দোলনকে বেগবান করতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি  গণদুশমন দালাল-প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্যও তিনি জনগণকে আহ্বান করেছেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার মরাটিলায় সেনা মদদপুষ্ট জেএসএস সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে নিহত হন ইউপিডিএফ নেতা সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More