সন্তু গ্রুপকে কাউখালিতে নিয়ে আসার গোপন ষড়যন্ত্র
সিএইচটিনিউজ.কম
কাউখালী প্রতিনিধি: স্থানীয় প্রশাসনের একটি অংশ নীতি আদর্শচ্যুত জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে রাঙামাটির কাউখালিতে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র করেছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এই সূত্র মতে আজ কালকের মধ্যে সন্তু গ্রুপ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় কাউখালি সদরে মিছিল করে তাদের উপস্থিতির জানান দিতে পারে। ইতিমধ্যে সন্তু গ্রুপ ও স্থানীয় সেনা-সিভিল প্রশাসনের মধ্যে এ ধরনের একটা গোপন বোঝাপড়া হয়েছে।
লক্ষ্মীছড়িতে যেভাবে সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে শেল্টার দিয়ে দুই পার্টির মধ্যে সংঘাতকে জিইয়ে রাখা হয়েছে, কাউখালিতেও প্রশাসন সেভাবে সন্তু গ্রুপকে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার নীল নক্সা তৈরি করেছে।
সূত্র মতে, ৩০,০০০ বাঙালি সেটলারকে পুনর্বাসন করার সরকারী পরিকল্পনা রয়েছে। কাউখালি থেকে ৫ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই পুনর্বাসন কার্যক্রমে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিরোধীতা আসবে বলে প্রশাসন মনে করে। তাই সন্তু গ্রুপকে দিয়ে ইউপিডিএফ-এর শক্তিকে ব্যতিব্যস্ত রেখে পুনর্বাসন কার্যক্রম সফল করার চেষ্টা করা হবে।
সূত্র আরো জানিয়েছে, সন্তু গ্রুপকে কাউখালি নিয়ে আসার জন্য প্রধান ভূমিকা রেখেছে মোঃ আকতার নামে ডিজিএফআই-এর এক কর্মকর্তা। তিনি গত ২৫ জুলাই রাঙামাটি ব্রিগেড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গোপন মিটিঙে ঘাগড়ায় নিয়োজিত সন্তু গ্র“পের দুই সদস্য ধীরেন্দ্র ও সুভাসকে নিয়ে যান এবং কাউখালিতে তাদেরকে প্রটেকশন দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর সুপারিশ করেন। এ জন্য সন্তু গ্রুপ ও তার মধ্যে বিশাল অংকের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোঃ আকতার ইতিপূর্বে বরকল ও জুরাছড়িতে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি রাঙামাটি সদর থেকে কয়েকদিন আগে কাউখালিতে বদলী হয়ে আসেন। এই বদলীর পেছনেও সন্তু গ্রুপের ভূমিকা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত সম্পর্কে গবেষণারত এক শিক্ষক বলেন, জেএসএস-এর সাথে স্থানীয় প্রশাসন বা সেনা গোয়েন্দাদের গোপন বোঝাপড়া নতুন বিষয় নয়। তাই কাউখালিতে যদি প্রশাসন জেএসএসকে শেল্টার দিয়ে রাখে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে এটাই নিয়ম বা ঐতিহ্য যে, সেনা-প্রশাসন যাদেরকে শেল্টার দেয় তাদেরকে পাহাড়ি জনগণ বিশ্বাস করে না ও মেনে নেয় না। সে কারণে এত সাপোর্ট পাওয়া সত্বেও এবং অনিল সহ আরো অনেকে স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া সত্বেও সন্তু গ্রুপ তথা বোরকা পার্টি লক্ষ্মীছড়িতে কোন ধরনের গণভিত্তি গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। কাউখালিতেও তাদের একই পরিণতি ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।
———
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।