সবিতা চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতারে উদ্যোগ নেই প্রশাসনের

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
indexখাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন কমলছড়িতে পাহাড়ি গৃহবধু সবিতা চাকমাকে ধর্ষণের পর হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। হত্যাকারীদের রক্ষায় প্রশাসনসহ একটি বিশেষ মহল নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। উস্কে দেয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার।

জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ছিল সবিতা চাকমার ধর্মীয় ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। এদিন বাঙালি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়িতে মানবন্ধন করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ট্রাক চালক মো: নিজাম ও তার সহযোগীদের জড়িত করার প্রতিবাদ জানায়। তাদের মানবন্ধনে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এই মানববন্ধন থেকে তারা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। এ দিনই দুপুরে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সেটলার বাঙালিরা কমলছড়িতে পাহাড়িদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ভণ্ডুল হয়ে যায় সবিতা চাকমার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও। এর পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারীও সেটলাররা বেতছড়িতে পাহাড়িদের উপর হামলা চালায়। সেটলারদের এসব হামলায় একই পরিবারের ২ জন (মা ও ছেলে) ও এক স্কুল ছাত্রী সহ কমপক্ষে ৫ জন পাহাড়ি গুরুতর আহত হয়। সেটলাররা বেতছড়ি, মধ্য বেতছড়ি, পশ্চিম বেতছড়ি, বড়নালে পাহাড়িদের কমপক্ষে ১০টি ঘরে ভাংচুর-ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লুটপাট চালায়। তারা বেতছড়ি চৈত্যাদর্শ বৌদ্ধ বিহারেও আক্রমণ করে। এতে বিহারের জিনিসপত্র ভাংচুর সহ ২টি বুদ্ধমূর্তি লুট করে নিয়ে যায় বলে বিহার সূত্রে জানা গেছে।

এসব হামলা চলাকালীন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সংস্থার লোকজন উপস্থিত থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা না দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা দেয় বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। যদিও প্রশাসন গতকাল বিকাল থেকে কমলছড়ি ইউনিয়ন ও মহালছড়ি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কিন্তু এর আগে যা হবার তা হয়েই গেছে।

এদিকে সবিতা চাকমাকে হত্যাকান্ডের পর ১৬ ফেব্রুয়ারী তার স্বামী দেব রতন চাকমা খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করলেও পরিকল্পিতভাবে সন্দেহভাজন আসামীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সংগঠন সবিতা চাকমাকে ধর্ষণও খুনের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More