সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ইউপিডএফের বৈসাবি ও নববর্ষের শুভেচ্ছা
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসিত খীসা পাহাড়িদের মহান সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু, বিহু) ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার সংবাদ পত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি সবার সুখ, সুস্থাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, বৈসাবির মূল চেতনা হলো ঐক্য, সংহতি এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করা। তিনি এই চেতনা নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এবারের বৈসাবি উৎসব এমন পরিস্থিতিতে উদযাপিত হতে যাচ্ছে যখন মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতি, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সংকটের সাথে পালস্না দিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী সাধারণ জনগণের জীবন অসহনীয় করে তুলছে। অন্যদিকে নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক হামলা, ভূমি বেদখল ও নারী নির্যাতনের ভয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণকে প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
ইউপিডিএফ নেতা বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘চুক্তির‘ পরও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশাল সেনা উপস্থিতি ও সেনাশাসন আগের মতোই রয়েছে। জাতিগত নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে বহিরাগত সেটলারদের ব্যবহারও বন্ধ হয়নি। অধিকন্তু জাতিসত্তার স্বীকৃতি দেয়ার পরিবর্তে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে দেশের সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে বাঙালি আখ্যায়িত করায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে বুকে ভবিষ্যতের অজানা শঙ্কা নিয়ে জনগণকে বৈসাবি উৎসব পালন করতে হচ্ছে।
নিবর্তনমূলক ও অধিকারহীন পরিবেশে কখনোই প্রকৃত উৎসব হয় না মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সত্যিকার উৎসবের জন্য বৈসাবি চেতনায় সকল জাতিসত্তাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করতে হবে।