সাজেকে ধর্ষণ প্রচেষ্টার সাথে জড়িত বিজিবি সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম শিয়ালদাইলুই এলাকার ভূষণ কার্বারী পাড়ায় গত ৩ নভেম্বর সোমবার বিজিবি সদস্য কর্তৃক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ প্রচেষ্টার ঘটনা বিস্তারিত জানতে ভিকটিম ওই নারীর সাথে আজ ৭ নভেম্বর ২০১৪, শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা সাক্ষাত করেছেন।
সাক্ষাতকালে ভিকটিম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নেতৃবৃন্দকে জানান, ‘সেদিন (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার সময় তিনি তার বড় বোন ও অপর এক মেয়ে সহ পাড়ার পাশ্ববর্তী কুয়ায় গোসল করতে ও পানি আনতে যান। একই সময় স্থানীয় ক্যাম্পের ৫ জন বিজিবি সদস্যও গোসল করতে সেখানে যায়। গোসল শেষে ৩ জন বিজিবি সদস্য ক্যাম্পে চলে গেলেও বাকি ২ জনের মধ্যে একজন বিজিবি সদস্য ভিকটিমের পাশে বসে ‘বাংলা বুঝে কিনা এবং পড়ালেখা করেছে কিনা’ ইত্যাদি জিজ্ঞেস করে। তখন ভিকটিম কোন কথা না বলে পানির পাত্র নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন। এ সময় ওই বিজিবি সদস্য তাঁর পিছু নেয় এবং কুয়াঘাট থেকে অল্প দূরে একটু নির্জন জায়গায় পৌঁছলে ভিকটিমকে ঝাপটিয়ে ধরে বুকে হাত দেয় এবং ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিম চিৎকার দেন এবং প্রাণপনে গ্রামের দিকে ছুটে গিয়ে গ্রামবাসীদের ঘটনাটি জানান। এরপর গ্রামবাসীরা বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা আজ চরমভাবে বিঘ্নিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কর্তৃক এ ধরনের ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা নারী সমাজকে আরো বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত বিজিবি সদস্যকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শিয়ালদাইলুই পাড়া বিজিবি ক্যাম্প প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রিনা চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।