সাজেকে বিজিবি কর্তৃক পাহাড়িদের ভূমি বেদখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Protest khagrachar2i,23.07.2014খাগড়াছড়ি: রাঙামাটির সাজেকে বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের নামে পাহাড়িদের ভূমি বেদখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন আজ ২৩ জুলাই বুধবার খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভরের ইউপিডিএফ কার্যালয়ের সামনে থেকে বুধবার বেলা ২:৩০টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা পরিষদ, নারাঙহিয়া, উপজেলা, কলেজ গেট হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সামবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব রিপন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিনা চাকমা। পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার এল্টন চাকমা সমাবেশ পরিচালনা করেন।

বক্তারা বলেন, সরকার বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের নামে সাজেকে পাহাড়িদের ভূমি বেদখল করে তাদেরকে সেখান থেকে উচ্ছেদে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। গতকাল ২২ জুলাই পাহাড়িরা উজো বাজার এলাকায় নিজ জমিতে একটি বুদ্ধমূর্তি স্থাপন করতে গেলে প্রশাসন তাদের বাধা দিয়েছে। এর আগে ২০০৮ ও ২০১০ সালে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে নিরীহ পাহাড়িদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়েছিল।

বক্তারা দীঘিনালা বাবুছড়ার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, বাবুছড়ায় বিজিবি কর্তৃক উচ্ছেদকৃত পাহাড়িদের জমি এখনো ফেরত দেয়া দেয়া হয়নি। উপরন্তু মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে নানা হয়রানি করা হচ্ছে। যার ফলে তারা এখনো ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আমরা ২০০৮ ও ২০১০ সালের সাজেক ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। কিন্তু সরকার যদি জোরপূর্বকভাবে পাহাড়ি জনগণকে নিজ বসতভিটা ও জায়গা-জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে তাহলে উদ্ভুত সকল পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

বক্তারা অবিলম্বে সাজেকে বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের নামে পাহাড়ি উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা ও বাবুছড়া থেকে বিজিবি ক্যাম্প প্রত্যাহার করে পাহাড়িদের নিজ নিজ বসতভিটা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
—————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More